ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড ( Voter ID Card Download Online)। বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। এই দেশে তথ্য প্রযুক্তির দ্রুত উৎকর্ষ সাধনের ফলে বাংলাদেশ সরকার ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন ভিত্তিক করেছে। ফলে বাংলাদেশের সকল নাগরিক তাদের ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড (Voter ID Card Download Online) করতে পারে খুব সহজেই।
পূর্বে নতুন ভোটারদের হালনাগাদ করার জন্য জনশুমারি পরিচালনা করতে হতো কিন্তু বর্তমানে ভোটার আইডি কার্ড রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়াটা অনলাইন ভিত্তিক হয়ে যাওয়ার ফলে খুব সুবিধা ভোগ করছি। আজকের এই অনুচ্ছেদে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড Voter ID Card Download Online) করতে পারবেন খুব সহজেই।
ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড। Voter ID Card Download Online
আপনি যদি পূর্বে ভোটার আইডি কার্ড রেজিষ্ট্রেশন করে থাকেন, তাহলে আপনি অনলাইন থেকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি খুব সহজেই ( Voter ID Card Download Online) ডাউনলোড করতে পারবেন। অন্যথায়, আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন না। অনলাইন থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র চেক করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ড রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে।
আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড ( Voter ID Card Download Online) করার জন্য আপনাকে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। এই ধাপগুলি অনুসরণ না করলে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন না।
অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড ( Voter ID Card Download Online) করতে কি লাগে?
আপনি যদি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চান তাহলে আপনার তথ্য নেওয়ার সময় যে টোকেন দিয়েছিল সে নাম্বার অথবা আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার লাগবে। এই দুইটি নাম্বারের যেকোনো একটি হলেই হবে।
টোকেন নাম্বার অথবা জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার থাকার পরেও যে জিনিসটা লাগবে সেটা হলো আপনার একটা ল্যাপটপ অথবা এন্ড্রয়েড মোবাইল। শুধু ল্যাপটপ দিয়ে কাজ হবেনা, এর জন্য আপনাকে একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল লাগবে কিন্তু যদি আপনার একটা মোবাইল থাকে তাহলে সেই মোবাইল দিয়েই আপনি অনলাইন থেকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড ( Voter ID Card Download Online) করতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড ( Voter ID Card Download Online) করার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু ধাপ
অনলাইন থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার পূর্বে কিছু কথা বলে রাখা ভালো। আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য কাউকে দিবেন না বা কাছের কেউ ছাড়া আপনার এই অতি প্রয়োজনীয় ভোটার আইডি কার্ডটি কখনো কাউকে দেওয়া উচিত না।
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড ( Voter ID Card Download Online) করতে আপনার মোবাইলে যে অ্যাপ গুলো লাগবে তার একটি হলো ❝NID WALLET❞ এবং যেকোনো একটি ব্রাউজার।
ধাপ-১ঃ
এই ধাপে শুরুতেই আমরা ❝ NID Wallet❞ নামক গুগল প্লেস্টোর থেকে ডাউনলোড করতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে গুগল প্লেস্টোরে গিয়ে সার্চবারে NID Wallet লিখে সার্চ করে নিচের পেজে যেমনটা দেখানো হয়েছে ঠিক সেইভাবে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড ( Voter ID Card Download Online) করার জন্য আপনাকে যেকোনো একটি ব্রাউজার চালু করতে হবে। আপনি চাইলে যেকোনো ব্রাউজার চালু করতে পারেন। আমার সুবিধার্থে আমি গুগল ক্রম চালু করছি।
গুগল ক্রম চালু করার পর সেখানে সার্চ করুন ❝NIDGOVBD❞ লিখে। সার্চ করার পর এর ফলাফল হিসেবে নিচের ওয়েবপেইজের মতো দেখাবে। নিচের মার্ক করার লিংকে ক্লিক করলে আপনি ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড ( Voter ID Card Download Online) করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের নির্বাচন কার্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন।
ধাপ-২ঃ
১ম ধাপের দেখানো নিয়মগুলো অনুসরণ করলে আপনি নিচের মতো একটি ওয়েবপেজ পাবেন। এই ওয়েবপেইজকে ব্যবহার করে আপনি একটা একাউন্ট তৈরি করতে হবে। যার জন্য আপনি ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড ( Voter ID Card Download Online) করতে চান তার টোকেন নাম্বার অথবা জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার দিয়ে একটা একাউন্ট তৈরি করতে হবে। এটা মনে রাখবেন যে আপনি যার জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে চান তার ছবি ভেরিফাই করার জন্য তাকে অবশ্যই লাগবে অন্যথায় আপনি ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন না। কেননা আপনি যে NID Wallet অ্যাপটি ডাউনলোড করেছেন সেই অ্যাপটি মূলত ব্যক্তি ভেরিফিকেশনের জন্য ব্যবহার করতে হয়। যা আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
ধাপ-৩ঃ
২য় ধাপের দেখানো নিয়মগুলো অনুসরণ করলে আপনি আপনার জন্য বা যার জন্য একাউন্ট তৈরি করেছেন তার নামে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। একাউন্ট তৈরি করার এই ধাপে আপনি খুব সতর্কতার সাথে ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার অথবা হালনাগাদ করার সময় যে ফরম ছিল সেই ফর্মের নাম্বার বা টোকেন নাম্বার দিতে হবে। তারপর জন্ম তারিখের জায়গায় জন্ম তারিখ এবং নিচের মানুষ ভেরিফাইয়ের জন্য ক্যাপচা কোড ভালো করে বসিয়ে সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে আপনার প্রোফাইল তৈরি কাজ শেষ হয়ে যাবে।
ধাপ-৪
৩য় ধাপের দেখানো নিয়মগুলো অনুসরণ করার পর আপনি যখন সামনের দিকে যাবেন, তখন নিচের ওয়েবপেইজটি আসবে। এই পেজে আপনাকে আপনার ঠিকানা বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা বসাতে হবে। আপনি যে এলাকায় ভোটার আইডি কার্ড রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য আবেদন করেছেন, সেই এলাকার ঠিকানা বসাতে হবে। অবশ্যই এটা মনে রাখবেন, যদি আপনি স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা যদি উলোটপালোট হয়ে যায় তাহলে আপনি একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন না। সঠিক ও নির্ভুলভাবে আপনার ঠিকানা দেওয়ার পর সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে পরের ধাপে নিয়ে যাবে।
ধাপ-৫ঃ
৪র্থ ধাপ শেষ করার পর আপনাকে নতুন আরেকটি ওয়েবপেইজে নিয়ে আসবে যেখানে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড। Voter ID Card Download Online হালনাগাদ করার সময় যে মোবাইল নাম্বার দিয়েছেন ঐ নাম্বারে একটা ❝OTP Code❞ আসবে। অথবা আপনি চাইলে ঐ নাম্বারটি পরিবর্তন করতে পারবেন। আপনি যে নাম্বারটি সেখানে বসাবেন অবশ্যই ঐ নাম্বারটি চালু থাকতে হবে। কারণ, ওই নাম্বারে একটা ❝OTP Code❞ আসবে যা আপনাকে নিচের ওয়েবপেইজ এ বসাতে হবে। মনে রাখবেন এই নাম্বারটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে না দিলে ঐ কোডটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। তাই সময় থাকতে না বসাতে পারলে আবার নতুন করে আগের ধাপের কাজ করত্ব হবে।
ধাপ-৬ঃ
ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড( Voter ID Card Download Online) করার এই ধাপে আপনাকে অবশ্যই ৫ম ধাপের নিয়মগুলো অনুসরণ করে এই ধাপে আসতে হবে। অন্যথায় আপনি এই ধাপে আসতে পারবেন না। যদি আপনি মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করতে চান, তাহলে আপনাকে আপনার চালুকৃত মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। আপনার চালুকৃত মোবাইল নাম্বার দেওয়ার পর আপনার মোবাইলে একটা OTP আসবে। এই কোডটি দেওয়ার পর নিচের ওয়েবপেইজটি আসবে।
ধাপ-৭ঃ
পূর্বের ধাপগুলো সঠিকভাবে পালন করার পর আপনি নিচের মতো একটি ওয়েবপেজ পাবেন। এখানে দেখতে পাচ্ছেন যে, এখানে NID Wallet নামে যে অ্যাপটি ডাউনলোড করেছেন ঐ অ্যাপটি ডাউনলোড করতে বলতেছে। আপনার মোবাইলটা এন্ড্রয়েড মোবাইল হতে অন্যথায় আপনি ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড। Voter ID Card Download Online পরবর্তী ধাপে যেতে পারবেন না। কারণ, এই অ্যাপটির অন্য অপারেটিং সিস্টেমের জন্য অন্য কোন অ্যাপ তৈরি করা হয়নি।
যেতেতু আমরা পূর্বেই এই অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিয়েছি তাই আমাদেরকে ❝ TAP To Open❞ NID Wallet নামে একটি লাল বৃত্ত আছে, সে লাল বৃত্ততে ক্লিক করলে আপনার NID Wallet অ্যাপটি চালু হয়ে আপনি মুখের ছবি ভেরিফাই করতে বলবে। যদি আপনি এখানে অন্যের ভোটার আইডি কার্ড এডিট করার জন্য নিজের ছবি দেন তাহলে আপনি পরের ধাপে যেতে পারবেন না।
ধাপ-৮
এই ধাপে যদি আপনার মোবাইলে NID Wallet অ্যাপটি ইনস্টল থাকে তাহলে আপনি আপনার মুখের ছবি ভেরিফাই করার জন্য আপনার ফ্রন্ট ক্যামেরা চালু হবে। এই অ্যাপটি চালু হলে আপনি নিচের পিকের মতো আপনার মুখের ছবি ভেরিফাই করার জন্য রেডি হবে।
ধাপ-৯ঃ
আপনার মুখের ছবি ভেরিফাই শেষ হলে আপনি নিচের ওয়েবপেইজের মতো একটি ওয়েবপেজ পাবেন। যেখানে আপনি অনেকগুলো অপশন পাবেন। সর্বপ্রথম আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড এর অনলাইন কপি ডাউনলোড করার জন্য একটি অপশন আপনার চোখের সামনে ভেসে উঠবে।
আপনি এই ধাপে আপনি কি চান সে বিষয়ের নির্ভর করবে। আপনি যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ড (Voter ID Card Download Online) করতে চান তাহলে আপনি এখান থেকেই পারবেন। আর আপনি যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ড বা Voter ID Card Download Online সংশোধন করতে চান তাহলে আপনি এখান থেকেই তা সসংশোধন করতে পারবেন।
সার-সংক্ষেপ
জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড বা ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড বা NID Card Download করার নিয়ম হলো আপনাকে NID Wallet নামে অ্যাপটি আপনার মোবাইলে ইন্সটল করতে হবে। তারপর আপনাকে NID GOV BD ওয়েবসাইটে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। তারপর আপনাকে আপনার মুখের ফেস স্ক্যান করে আপনাকে অনলাইন থেকে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের বা NID card এর অনলাইন PDF কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।
অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড ( Voter ID Card Download Online) এর এই নিয়মটি খুবই সহজ এবং সবচেয়ে কম সময়ে ডাউনলোড করতে পারবেন। ডাউনলোড করার পর এটি যে কোন দোকানে প্রিন্ট করে নিতে পারেন। যদি আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড ( Voter ID Card Download Online) করার নিয়ম অনুসরণ করেন তাহলে খুব সহজে এবং খুব তাড়াতাড়ি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। অনুচ্ছেদটি ভালো লাগলে সবার সাথে শেয়ার করবেন।
প্রশ্ন-উত্তর পর্ব
জাতীয় পরিচয় সক্রান্ত
আপনার ভোটার নিবন্ধন হয়েছে কিন্তু জাতীয় পরিচয় পত্র পাননি?
আপনারা যারা ভোটার হিসাবে নিবন্ধিত হয়েছেন কিন্তু জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর পাননি, তারা বাংলাদেশ নির্বাচন অফিস কার্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে একাউন্ট রেজিস্টার মেন্যুতে গিয়ে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। তারপর আপনি আপনার কাছে রক্ষিত ফর্ম নম্বর এবং আপনার জন্ম তারিখ, ক্যাপচা ও প্রয়োজনী তথ্য দিয়ে অনলাইন সেবার জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন। পরবর্তীতে লগইন মেন্যুতে গিয়ে আপনার ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে ডাউনলোড মেন্যুতে গিয়ে আপনার পরিচয়পত্র কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।
আপনি কি নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র চান?
যেহেতু জাতীয় পরিচয়পত্র হালনাগাদ একটি চলমান প্রক্রিয়া, তাই আপনি যেকোনো সময় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনি যদি একজন বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকেন কিন্তু এখনও নিবন্ধিত হননি এবং আপনার বয়স যদি ১৮ বছর কিংবা তার বেশি হয়ে থাকেন তাহলে অনলাইন একটি ফর্ম পূরণ করে আপনার সময় মোতাবেক আপনার উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে বায়োমেট্রিক প্রদান করতে হবে। আপনি যেদিন বায়োমেট্রিক প্রদান করবেন সেই সময় আপনাকে কিছু সংযুক্ত কাগজ পত্র প্রয়োজন হবে, যা নিন্মরুপ-
⇒ অনলাইনে পূরণকৃত ফর্মের প্রিন্ট কপি।
⇒
বয়স প্রমানের জন্য এসএসসি সনদ/ জন্ম নিবন্ধন সনদ / পাসপোর্ট / ড্রাইভিং লাইসেন্স /টি.আই.এন -(বয়স প্রমাণের সনদ)।
⇒
আপনার ঠিকানা ভেরিফিকেশনের জন্য ইউটিলিটি বিলের কপি/বাড়ী ভাড়ার রশিদ/হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ।
⇒
প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নাগরিকত্বের সনদ।
⇒ আপনার বাবা ও মায়ের অথবা স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের কপি।
বিঃদ্রঃ আপনার বয়স যদি চলতি বছরের ১ জানুয়ারী বা তার পূর্বে ১৮ বছর হয়ে থাকে তাহলে আপনি ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন।
আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য হালনাগাদ করতে চান?
আপনি যদি সরকারি কোন সেবা নিতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে। এর জন্য আপনাকে আপনার নিজস্ব তথ্য হালনাগাদ করতে হবে ,যাতে আপনি সকল সরকারি সেবা নিতে পারেন। ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আপনি অনলাইন অথবা অফলাইন এই দুই উপায়ে জাতীয় পরিচয় পত্র পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনি যদি অনলাইনে আবেদন করতে চান তাহলে বাংলাদেশ সরকারের নির্বাচন কার্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন করার জন্য আপনার বর্তমান কার্ডের নম্বর ও একটি কার্যকর মোবাইল নম্বর, আপনার জন্মতারিখ ও ঠিকানা সম্পর্কিত তথ্য প্রয়োজন।
ক) আপনি ভোটার হয়ে থাকলে রেজিস্ট্রেশন করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের সুবিধা নিন এবং রেজিস্ট্রেশন করে আপনি নিম্নলিখিত সুবিধাসমূহ পেতে পারেনঃ
⇒ নিজস্ব প্রোফাইল তথ্য।
⇒ নির্বাচনকালীন ভোটকেন্দ্র সম্পর্কিত তথ্য।
⇒ কার্ডের তথ্য পরিবর্তন/সংশোধন/হালনাগাদের জন্য আবেদন।
⇒ ঠিকানা অথবা ভোটার এলাকা পরিবর্তন/সংশোধন/হালনাগাদের আবেদন।
⇒ হারানো/নষ্ট কার্ড পুনর্মুদ্রণের আবেদন ।
⇒ আবেদনপত্রের বর্তমান অবস্থার তথ্য।
⇒ ছবি,স্বাক্ষর ইত্যাদি পরিবর্তনের এপয়েন্টমেন্ট করা।
খ) প্রয়োজনীয় তথ্যাবলীঃ
⇒ তথ্য পরিবর্তনের জন্য, তার সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করুন।
⇒ সাধারন জিজ্ঞাসা লিংকে জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত তথ্য দেখুন।
জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য হালনাগাদের জন্য কি কি দলিলাদি প্রয়োজন?
(১) জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর বাংলায় এবং ইংরেজিতে নাম প্রদান করতে হবে। আপনি যদি আপনার জন্মতারিখ সংশোধন করতে চান সেক্ষেত্রে, উক্ত সংশোধনের পক্ষে, নিম্নবর্ণিত কাগজপত্র/তথ্যাদি জমা দিতে হইবে, যথা:-
⇒ শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এসএসসি/সমমান হইলে এসএসসি/সমমান সনদপত্র।
⇒ অন্যান্য ক্ষেত্রে, জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর পাসপোর্ট/জন্ম নিবন্ধন সনদ/ড্রাইভিং লাইসেন্স/ট্রেড লাইসেন্স/কাবিননামার সত্যায়িত অনুলিপি।
⇒ শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এসএসসি/সমমান না হইলে এবং তিনি সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, আধা-স্বায়ত্বশাসিত কিংবা সংবিধিবদ্ধ কোনো সংস্থায় চাকুরীরত হইলে, চাকুরী বই/মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও)।
⇒ নামের আমূল পরিবর্তনের ক্ষেত্রে, প্রার্থিত পরিবর্তনের যথার্থতা সম্পর্কে গ্রহণযোগ্য দলিলাদি [এসএসসি সনদ/পাসপোর্ট/চাকুরী বই/মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও)/ড্রার্ইভিং লাইসেন্স, যাহার ক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য] ছাড়াও ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পাদিত হলফনামা ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির কপি।
⇒ ধর্ম পরিবর্তনের কারণে নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পাদিত হলফনামা ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির কপি এবং আবেদনের যথার্থতা সম্পর্কে গ্রহণযোগ্য দলিলাদি (শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/জন্ম নিবন্ধন সনদ, ইত্যাদি যাহার ক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য)।
(২) বিবাহ বা বিবাহ বিচ্ছেদ বা অন্য কোন কারণে কোনো মহিলা তাহার নামের সহিত স্বামীর নামের অংশ (টাইটেল) সংযোজন বা বিয়োজন বা সংশোধন করিতে চাহিলে, তাহাকে কাবিননামা/তালাকনামা/মৃত্যু সনদ/ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পাদিত হলফনামা/বিবাহ বিচ্ছেদ ডিক্রির সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে। এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, প্রয়োজনে, সরেজমিন তদন্ত করিতে পারিবেন।
(৩) পিতা/মাতার নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে, জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর এসএসসি, এইচএসসি বা সমমান সনদপত্র (যদি উহাতে পিতা/মাতার নাম উল্লিখিত থাকে) এবং জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর পিতা, মাতা, ভাই ও বোনের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে। এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, প্রয়োজনে, সরেজমিন তদন্ত করিতে পারিবেন।
(৪) পিতা/মাতার নামের পূর্বে “মৃত” অভিব্যক্তিটি সংযোজন বা বিয়োজন করিতে চাহিলে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, পিতা/মাতার মৃত্যু সনদের সত্যায়িত অনুলিপি বা তাহাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি ও জীবিত থাকিবার সমর্থনে সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান/পৌর মেয়র/কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হইবে।
(৫) ঠিকানা (বাসা/হোল্ডিং/গ্রাম/রাস্তা/ডাকঘর) সংশোধনের ক্ষেত্রে, সঠিক ঠিকানার স্বপক্ষে বাড়ির দলিল/টেলিফোন, গ্যাস বা পানির বিল/বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র/বাড়িভাড়া রশিদের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে।
(৬) রক্তের গ্রুপ সংযোজন বা সংশোধনের ক্ষেত্রে, উহার স্বপক্ষে ডাক্তারী সনদপত্র জমা দিতে হইবে।
(৭) শিক্ষাগত যোগ্যতা সংশোধনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে।
(৮) টিআইএন/ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর/পাসপোর্ট নম্বর সংশোধনের ক্ষেত্রে, প্রয়োজনে, টিআইএন সনদ/ড্রাইভিং লাইসেন্স/পাসপোর্টের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে।
(৯) অন্যবিধ যে কোনো সংশোধনের ক্ষেত্রে, উক্তরূপ সংশোধনের স্বপক্ষে উপযুক্ত সনদ, দলিল ইত্যাদির সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে।
(১০) আবেদনপত্রের সহিত দাখিলকৃত অনুলিপিসমূহ নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিবর্গ সত্যায়ন করিতে পারিবেন:
⇒ সংসদ সদস্য
⇒ স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি
⇒ গেজেটেড সরকারি কর্মকর্তা
⇒ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান
(১১) অসম্পূর্ণ বা ত্রুটিপূর্ণ আবেদন বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।
নতুন নিবন্ধন প্রক্রিয়ার নির্দেশনাবলী
নতুন ভোটার আইডি কার্ড নিবন্ধন করার প্রক্রিয়ায় আপনাকে স্বাগত জানাই। আপনি যদি নতুন ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করতে চান তাহলে আপনাকে নিচের নির্দেশনাবলি অনুসরণ করতে হবে।
⇒ অনলাইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনি সঠিকভাবে ভোটার রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পূরণ করতে পারবেন।
⇒ আপনি ইতোমধ্যে ভোটার হয়ে থাকলে পুনরায় আবেদন করার প্রয়োজন নেই।
⇒ নিবন্ধিত ব্যাক্তি পুনরায় আবেদন করলে সেটি দন্ডনীয় অপরাধ নতুন ১৮ বয়সের অধিক, প্রবাসী বা বাদপড়া ভোটারগণ এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন।
ধাপসমূহঃ আপনি নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
⇒ ধাপে ধাপে সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন।
⇒ নিজের পূর্ণনাম ছাড়া সকল তথ্য বাংলায় ইউনিকোডে পুরণ করুন।
⇒ সকল ধাপ সম্পন্ন হবার পরে প্রিভিউএর মাধ্যমে সকল তথ্য পুনর্বার যাচাই করে নিন ।
⇒ পিডিএফ ফাইল তৈরি করে সেটি প্রিন্ট করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ নিকটস্থ নির্বাচন অফিসে জমা দিন।
⇒ আপনার প্রদত্ত তথ্যাদি যাচাই এবং ঠিকানা যাচাইয়ের পরে তথ্যাদি সঠিক নিশ্চিত হলে আপনার নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আপনার মোবাইলে SMS পাঠানো হবে, এর পর অনলাইন থেকেই একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।
বিঃদ্রঃ তিনটি ধাপে (ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য, বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা) নিবন্ধন ফর্ম পূরণ করতে হবে। আংশিক ফর্ম পূরণ করে তা সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে বাকি অংশটুকু পূরণ করার সুবিধা রয়েছে। এর জন্য অন্তত একটি ধাপ সম্পন্ন করতে হবে।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার নির্দেশনাবলী
আপনি ভোটার হয়ে থাকলে রেজিস্ট্রেশন করে এই ওয়েবসাইটের সুবিধা নিতে পারেন। রেজিস্ট্রেশন করতে নিন্মের ধাপসমূহ অনুসরণ করতে হবেঃ
⇒ প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী পূরণ করে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন।
⇒ আপনার কার্ডের তথ্য ও মোবাইলে প্রাপ্ত এক্টিভেশন কোড প্রদান করুন।
⇒ আপনার মোবাইলে এনআইডি ওয়ালেট অ্যাপটি ডাউনলোড করুন এবং মুখমণ্ডল যাচাই (Face Verification) করে আপনার প্রোফাইলে লগইন করুন।
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন সংক্রান্ত
পাস না করা সত্ত্বেও এস.এস.সি পাশ দিয়েছিলাম এখন আমার বয়স বা অন্যান্য তথ্যাদি সংশোধনের উপায় কি?
আপনি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এস.এস.সি পাশ করেননি, ভুলক্রমে লিখেছিলেন মর্মে হলফনামা করে এর কপিসহ সংশোধনের আবেদন করলে তা সংশোধন করা যাবে।
একই পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের কার্ডে পিতা/মাতার নাম বিভিন্নভাবে লেখা হয়েছে কিভাবে তা সংশোধন করা যায়?
সকলের কার্ডের কপি ও সম্পর্কের বিবরণ দিয়ে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/ উপজেলা/ জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর পর্যাপ্ত প্রামাণিক দলিলসহ আবেদন করতে হবে।
আমি পাশ না করেও অজ্ঞতাবশতঃ শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা তদুর্দ্ধ লিখেছিলাম এখন আমার বয়স বা অন্যান্য তথ্যাদি সংশোধনের উপায় কি?
আপনি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এস.এস.সি পাশ করেননি, ভুলক্রমে লিখেছিলেন মর্মে হলফনামা করে এর কপিসহ সংশোধনের আবেদন করলে তা সংশোধন করা যাবে। এর জন্য আপনার অর্থদন্ড বা জেলজরিমানা হতে পারে।
আমার আইডি কার্ড এর ছবি অস্পষ্ট, ছবি পরিবর্তন করতে হলে কি করা দরকার?
আপনা যদি আপনার ছবি অস্ফষ্ট আসে এক্ষেত্রে নিজে সরাসরি উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে।
নিজ/পিতা/স্বামী/মাতার নামের বানান সংশোধন করতে আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে?
এই জন্য আপনাকে এসএসসি/সমমান সনদ, জন্ম সনদ, পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব সনদ, চাকুরীর প্রমাণপত্র, নিকাহ্নামা, পিতা/স্বামী/মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হয়।
নিজের ডাক নাম বা অন্য নামে নিবন্ধিত হলে সংশোধনের জন্য আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে?
নিজের নাম ভুল হলে তা আপনার এসএসসি/সমমান সনদ অনুযায়ী পরিবর্তন করা হবে। বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্ত্রী/স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সম্পাদিত এফিডেভিট ও জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি, ওয়ারিশ সনদ, ইউনিয়ন/পৌর বা সিটি কর্পোরেশন হতে আপনার নাম সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র।
পিতা/মাতাকে ‘মৃত’ উল্লেখ করতে চাইলে কি কি সনদ দাখিল করতে হয়?
আপনার পিতার মৃত্যু হলে আপনি যদি আপনার পিতা/মাতা/স্বামী মৃত উল্লেখ করতে চাইলে মৃত্যু সনদ দাখিল করতে হব।
ভোটার আইডি কার্ডে কিভাবে ঠিকানা সংশোধন করা যায়?
আপনি যদি আপনার এলাকা বা ঠিকানা পরিবর্তন করতে চান, তাহলে আপনাকে শুধুমাত্র আবাসস্থল পরিবর্তনের কারনেই ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য বর্তমানে যে এলাকায় বসবাস করছেন সেই এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে ফর্ম ১৩ এর মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। তবে একই ভোটার এলাকার মধ্যে পরিবর্তন বা ঠিকানার তথ্য বা বানানগত কোন ভুল থাকলে সাধারণ সংশোধনের আবেদন ফর্মে আবেদন করে সংশোধন করা যাবে।
আমি বৃদ্ধ ও অত্যন্ত দরিদ্র ফলে বয়স্ক ভাতা বা অন্য কোন ভাতা খুব প্রয়োজন। কিন্তু নির্দিষ্ট বয়স না হওয়ার ফলে কোন সরকারী সুবিধা পাচ্ছি না। লোকে বলে আইডি কার্ড –এ বয়সটা বাড়ালে ঐ সকল ভাতা পাওয়া যাবে?
না। আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডে কোনো পরিবর্তন করতে পারবেন না । প্রদত্ত বয়স প্রামাণিক দলিল ব্যতিত পরিবর্তন সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, প্রামানিক দলিল তদন্ত ও পরীক্ষা করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
একই পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের কার্ডে পিতা/মাতার নাম বিভিন্নভাবে লেখা হয়েছে কিভাবে তা সংশোধন করা যায়?
এটা একটা অনেক বড় সমস্যা। আপনাকে অবশ্যই তা সংশোধন করে নিতে হবে। কেননা, আপনার ক্যারিয়ারের প্রতিটি ধাপে এই জাতীয় পরিচয় পত্রটি দরকার পরবে। এর জন্য আপনাকে আপনার পরিবারের সকলের কার্ডের কপি ও সম্পর্কের বিবরণ দিয়ে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/ উপজেলা/ জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর পর্যাপ্ত প্রামাণিক দলিলসহ আবেদন করতে হবে।
নিজ/পিতা/স্বামী/মাতার নামের বানান সংশোধন করতে আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে?
আপনি যদি আপনার নিজের নাম, পিতার নাম এবং মাতার নাম সংশোধন করতে চান তাহলে আপনাকে আপনার এসএসসি/সমমান সনদ, জন্ম সনদ, পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব সনদ, চাকুরীর প্রমাণপত্র, নিকাহ্নামা, পিতা/স্বামী/মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হয়।
আমার আইডি কার্ড এর ছবি অস্পষ্ট, ছবি পরিবর্তন করতে হলে কি করা দরকার?
হুম, আপনি অবশ্যই তা পারবেন। কেননা যখন আপনার বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি তখন আপনার চেহেরা আর বর্তমানের চেহেরা মিল না থাকলে আপনি পরিবর্তন করতে পারবেন । প্রতিটি পরিবর্তনের জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে হবে। এক্ষেত্রে নিজে সরাসরি উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে।
আমি আমার পেশা পরিবর্তন করতে চাই কিন্তু কিভাবে করতে পারি?
আপনি যদি আপনার পেশা পরিবর্তন করতে চান তাহলে আপনাকে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে প্রামাণিক কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। উলেখ্য, আইডি কার্ডে এ তথ্য মুদ্রণ করা হয় না।
বিবাহ বিচ্ছেদের পর নতুন বিবাহ করেছি এখন আগের স্বামীর নামের স্থলে বর্তমান স্বামীর নাম কিভাবে সংযুক্ত করতে পারি?
হ্যাঁ অবশ্যই পারবেন। এর জন্য আপনাকে প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদের তালাকনামা ও পরবর্তী বিয়ে কাবিননামাসহ সংশোধন ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে।
বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। এখন আইডি কার্ড থেকে স্বামীর নাম বিভাবে বাদ দিতে হবে?
যদি কোনো কারনে কারোর বিবাহ বিচ্ছেদ যায় এবং আপনার ভোটার আইডি কার্ডে আপনার ডিভোর্সের স্বামীর নাম উল্লেখ্য আছে। তাহলে তা সংশোধের জন্য আপনাকে বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত দলিল (তালাকনামা) সংযুক্ত করে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
বিয়ের পর স্বামীর নাম সংযোজনের প্রক্রিয়া কি?
আপনি যদি বিয়র পর আপনার স্বামীর নাম আপনার ভোটার আইডি কার্ডে যুক্ত করতে চান তাহলে নিকাহনামা ও স্বামীর আইডি কার্ড এর ফটোকপি সংযুক্ত করে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর আবেদন করতে হবে।
আমি অবিবাহিত। আমার কার্ডে পিতা না লিখে স্বামী লেখা হয়েছে। কিভাবে তা সংশোধন করা যাবে?
হ্যাঁ। আপনি সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে আপনি বিবাহিত নন মর্মে প্রমাণাদিসহ আবেদন করতে হবে।
ভুলক্রমে পিতা/স্বামী/মাতাকে মৃত হিসেবে উল্লেখ করা হলে সংশোধনের জন্য কি কি সনদ দাখিল করতে হবে?
আপনার ভোটার আইডি কার্ডে আপনার জীবিত পিতা/স্বামী/মাতাকে ভুলক্রমে মৃত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে কিন্তু আপনার পিতা/স্বামী/মাতা এখনো জীবিত আছে। তাহলে আপনি এটা সংশোধন করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ডে কোন সংশোধন করা হলে তার কি কোন রেকর্ড রাখা হবে?
অবশ্যই। আপনি যা কিছু সংশোধন করবেন সকল সংশোধনের রেকর্ড সেন্ট্রাল ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে।
ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য কিভাবে সংশোধন করা যায়?
আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। এর জন্য আপনাকে সংশোধনের পক্ষে উপযুক্ত দলিলাদি / প্রমাণাদি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করে জমা দিতে হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র ও নিবন্ধন সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা
আমি যথা সময়ে ভোটার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করতে পারিনি। এখন কি করা যাবে?
হ্যাঁ। যেহেতু জাতীয় পরিচয় পত্র রেজিষ্ট্রেশন একটি চলমান প্রক্রিয়া তাই আপনি যে কোন সময়ে রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আপনি যদি অনলাইনে কিভাবে রেজিষ্ট্রেশন করতে হয় তার বিস্তারিত অনুচ্ছেদ দেখতে চান তাহলে আপনি এই পোস্টি পড়তে পারেন।
আমি বিদেশে অবস্থানের কারণে ভোটার রেজিস্ট্রেশন করতে পারিনি, এখন কিভাবে করতে পারবো?
যেহেতু জাতীয় পরিচয় পত্র রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়াটি একটি অনলাইন ভিত্তিক তাই আপনি যে কোন সময়ে রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
আমি ২০০৭/২০০৮ অথবা ২০০৯/২০১০ সালে ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেছি কিন্তু সেই সময় আইডি কার্ড গ্রহণ করিনি। এখন কিভাবে আইডি কার্ড পেতে পারি?
হুম অবশ্যই পেতে পারেন । এর জন্য আপনাকে উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকে আপনার কার্ড সংগ্রহ করতে হবে। যদি সেখানেও না পাওয়া যায় তাহলে অনলাইনে রিইস্যু করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন অনুমোদিত হওয়ার পর আপনার মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হবে। এরপর অনলাইন থেকে আপনার এনআইডি কার্ড এর কপি ডাউনলোড করে নিন।
ভোটার তালিকার নামের সাথে বিভিন্ন খেতাব, পেশা, ধর্মীয় উপাধি, পদবী ইত্যাদি যুক্ত করা যাবে কিনা?
না। ভোটার তালিকার ডাটাবেজে শুধুমাত্র নাম সংযুক্ত করা হয়, কোন উপাধি বা অর্জিত পদবী তাতে সংযুক্ত করার অবকাশ নাই।
কোথা হতে আইডি কার্ড সংগ্রহ করা যাবে?
আপনি যদি চান অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। যদি আপনি অনলাইনে না করে থাকেন তাহলে যে এলাকায় ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেছেন সেই এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকে আইডি কার্ড সংগ্রহ করা যাবে।
আমি বিদেশে চলে যাব। আমার কার্ড কি অন্য কেউ উত্তোলন করতে পারবে?
হ্যাঁ । আপনি পৃথিবীর যেকোন স্থান থেকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।
কার্ডে ইচ্ছাকৃত ভুল তথ্য দিলে কি হবে?
আপনি যদি জাতীয় পরিচয় কার্ডে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল করেন তাহলে আপনার জেল বা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দণ্ডিত হতে পারে।
জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ১৩ আবার কারো ১৭ কেন?
এতে কোন সমস্যা নেই কারন ২০০৮ এর পরে যত আইডি কার্ড প্রিন্ট করা হচ্ছে বা পুণঃ তৈরি হচ্ছে সে সকল কার্ডের নম্বর ১৭ ডিজিট হয়ে থাকে।
বিভিন্ন দলিলে আমার বিভিন্ন বয়স/নাম আছে। কোনটা ভোটার রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে?
আপনি যদি একজন ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষার সনদে উল্লেখিত বয়স ও নাম ব্যবহার করা উচিত হবে। ভবিষ্যতে ৫ম/৮ম সমাপনী পরীক্ষার সনদ ও গ্রহণযোগ্য হবে। লেখাপড়া না জানা থাকলে জন্ম সনদ,পাসপোর্ট,ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে ও আবেদন করা যাবে।
আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে কি ডুপ্লিকেট এন্ট্রি শনাক্ত করা সম্ভব?
হ্যাঁ, শনাক্ত করা সম্ভব। বর্তমানে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোটার আইডি কার্ড রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম চলছে। প্রতিটি নাগরিকের আঙ্গুলের ছাপ বাংলাদেশ সরকারের কেন্দ্রীয় সার্ভারে জমা থাকে। তাই আপনি যদি আপনার জন্য ডুপ্লিকেট কপি তৈরি করেন তাহলে তা চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
এক ব্যক্তির পক্ষে কি একাধিক নামে ও বয়সে একাধিক কার্ড পাওয়া সম্ভব?
অবশ্যই না। একজন ব্যক্তি কেবল একটি মাত্র ভোটার আইডি কার্ড করতে পারবেন। তথ্য গোপন করে যদি কোনো ব্যক্তি একাধিক স্থানে ভোটার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি ধরা পড়ে যাবেন কারণ কেন্দ্রীয় সার্ভারে প্রতিটি নাগরিকের আঙুলের ছাপ রয়েছে। যদি পরবর্তীতে আপনি ধরা পড়েন তাহলে আপনার বিরুদ্ধে মামলা হবে।
নতুন ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে কি কি কাগজ পত্রাদি প্রয়োজন?
নতুন ভোটার হবার জন্য আপনাকে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ, এস.এস.সি বা সমমানের পরীক্ষা পাসের সনদ (যদি থাকে), আপনার ঠিকানা প্রমাণের জন্য কোন ইউটিলিটি বিলের কপি যেমনঃ বিদ্যুৎ বিল, নাগরিক সনদ পত্র, মা ও বাবার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি অথবা আপনি যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন তাহলে স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, টিআইএন (TIN) নম্বর (যদি থাকে)।
আমি খুব দরিদ্র ও বয়স ১৮ বছরের কম। ১৮ বছরের উপরে বয়স দেখিয়ে একটি আইডি কার্ড পেলে গার্মেন্টেস ফ্যাক্টরিতে বা অন্য কোথাও চাকুরী পেতে পারি। মানবিক কারণে এই পরিস্থিতি বিবেচনা করা যায় কি?
না। এই প্রশ্নের সোজাসাপটা উত্তর হলো আপনি কোনো সময়ের জন্য আপনার বয়স বৃদ্ধি বা কমানোর কোনো সুযোগ নেই। ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। মানবিক বিবেচনার কোন সুযোগ নেই। যদি আপনি তা পরিবর্তন করতে চান তাহলে পরবর্তীতে আপনার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হতে পারে।
আমি ভুলে দু’বার রেজিস্ট্রেশন করে ফেলেছি এখন কি করবো?
যদি আপনি দুইবার ভোটার আইডি কার্ড রেজিষ্ট্রেশন করে থাকেন তাহলে আপনি যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা জানান। যেহেতু বর্তমানে Finger Print Matching কার্যক্রম চলছে। অচিরেই সকল Duplicate Entry সনাক্ত করা হবে। উল্লেখ্য, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই শাস্তি অনেক গুরুতর হতে পারে।
আইডি কার্ড আছে কিন্তু ২০০৮ এর সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটার তালিকায় নাম ছিল না। এরূপ সমস্যা সমাধানের উপায় কি?
যদিও অনেক প্রকারের উত্তর হতে পারে এই প্রশ্নের। সবচেয়ে ভালো হয় আপনি অবিলম্বে এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/জেলা নির্বাচন কার্যালয় অফিসে যোগাযোগ করুন।
একজনের কার্ড অন্যজন সংগ্রহ করতে পারবে কিনা?
আপনি যদি অনুমতি দেন যে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রটি অন্যজন সংগ্রহ করুক। তাহলে আপনি তা দিতে পারবেন। তাছাড়া এখন সবকিছু অনলাইন ভিত্তিক হয়ে যাওয়ার ফলে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।
আপনারা বিভিন্ন ফর্মের কথা বলেছেন? এগুলো কোথায় পাওয়া যাবে?
যেহেতু জাতীয় পরিচয় পত্রের সকল প্রকারের কাজের জন্য অনলাইন ভিত্তিক হয়ে গেছে, তাই আপনি আপনার প্রয়োজনীয় সে ফাইলটি যে ক্যাটাগরিতে আবেদন করছেন সে অনুযায়ী আপনার ফরমটি তৈরি হবে। যা আপনি আবেদনের ধরন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ফরম অনলাইন থেকেই সংগ্রহ করতে পারবেন।
এই সমস্ত ফর্মের জন্য কোন মূল্য পরিশোধ করতে হয় কি না?
না। জাতীয় পরিচয় পত্রের আবেদন করার জন্য কোনো ফর্মের ফি দিতে হবে না। আপনি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এই ফরমের ফাইলটি পিডিএফ ফরম্যাটে ডাউনলোড করতে পারবেন।
জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে করণীয়
জাতীয় পরিচয়পত্রে নেই কিন্তু তথ্য পরিবর্তিত হয়েছে এমন তথ্যাদি পরিবর্তন কিভাবে সম্ভব?
জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রদর্শিত নয় এমন তথ্য অনলাইন থেকে সংশোধন করতে পারবেন।
হারিয়ে যাওয়া ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে সংশোধন করব?
আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র যদি হারিয়ে যায় তাহলে প্রথমে হারানো আইডি কার্ড উত্তোলন করে তারপর সংশোধনের আবেদন করতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড হারানো ও সংশোধন একই সাথে করা যায় কি?
না । কারন, হারানো ও সংশোধন একই সাথে সম্ভব নয়। প্রথমে আপনাকে হারানো কার্ড তুলতে হবে, পরবর্তীতে সংশোধনের জন্য আবেদন করা যাবে।
হারানো ভোটার আইডি কার্ড পেতে বা তথ্য সংশোধনের জন্য কি কোন ফি দিতে হয়?
হ্যাঁ ফি দিতে হয়। আপনার ভোটার আইডি কার্ড রিইস্যু করার জন্য অবশ্যই ফি প্রদান করতে হবে। আপনার আবেদনের ফি জানতে এখানে ক্লিক করুন।
ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গিয়েছে। কিভাবে নতুন কার্ড পেতে পারি?
আপনার যদি ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে যায় তাহলে আপনি অনলাইনে পুনরায় মুদ্রণের (রিইস্যু) জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন অনুমোদিত হওয়ার পর আপনার মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হবে। এরপর অনলাইন থেকে আপনার এনআইডি কার্ড এর কপি ডাউনলোড করে নিন। বিস্তারিত