জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড (Voter ID Card Check) দেখার জন্য আপনাকে বেশকিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। আপনি যদি আপনার মোবাইল ফোন দিয়ে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রটি দেখতে চান তো এই প্রক্রিয়াটি বেশ সহজ। আপনার আপনার ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করার জন্য আপনার মোবাইলে যেকোনো একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল থাকতে হবে। তারপর আপনাকে Google Play Store থেকে NID Wallet নামে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। তারপর বাংলাদেশ নির্বাচন অফিসের কার্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার মুখমণ্ডল ভেরিফাই করলে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রটি দেখতে পাবেন।
শিরোনামঃ
কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড চেক করবো (Voter ID Card Check)?
একটি দেশের নাগরিককে অন্যান্য দেশের নাগরিক থেকে আলাদা করার যে মাধ্যম তা হলো জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড। প্রতিটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান তাদের দেশের নাগরিকদের চেনার জন্য আলাদা আলদা মাধ্যম বেছে নিয়েছেন। বাংলাদেশের সরকার প্রধানও ব্যতিক্রম নন। এদেশের কে নাগরিক আর কে নাগরিক না তার উত্তর পাওয়া যাবে জাতীয় পরিচয় পত্রের মাধ্যমে। এই অনুচ্ছেদে আপনারা জানবেন কিভাবে খুব সহজে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করতে পারবেন তার বিস্তারিত বর্ণনা নিচে আলোচলা করা হলো।
জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করার যা যা দরকার
জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করার জন্য যাকিছু লাগবে তার মধ্যে সবচেয়ে জরুরী হচ্ছে একটা স্মার্ট ফোন / এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন । আপনার কাছে যদি ল্যাপটপ থাকে তারপরও আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করতে পারবেন না। কেননা, জাতীয় পরিচয় পত্র চেক করার জন্য NID Wallet নামে একটা অ্যাপ লাগবে যা কেমল এন্ড্রয়েড ফোনের জন্যই। তারপর একটা ল্যাপটপ হলে ভালো হয়। এই সকল ডিভাইস থাকার সাথে সাথে আপনার যে সকল তথ্য আপনার লাগবে তা হলো- আপনি নতুন ভোটার আইডি কার্ড নিবন্ধন করার সময় সেই হালনাগাতে ফর্ম নাম্বার এবং আপনার জন্ম তারিখ। জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করার জন্য যা যা দরকার আপনাদের সুবিধার্থে নিচে লিস্ট আকারে প্রদান করলাম।
- একটি Android Mobile এবং একটি কম্পিউটার হলে ভালো হয়।
- জাতীয় পরিচয় পত্র হালনাগাত করার সময় Token Number / ফর্ম নাম্বার।
- আপনার জন্ম তারিখ (Date of Birth)।
আপনার কাছে যদি উপরিউক্ত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থাকে তাহলে আপনি নিজে নিজে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রটু চেক করতে পারবেন আপনার হাতের মোবাইল দিয়েই।
ভোটার আইডি কার্ড চেক ( Voter ID Card Check) করার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু ধাপ
যেহেতু প্রতিটা মানুষের জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র খুব দরকারি একটা কার্ড, এই কার্ডটি আপনাদের চেক করে দেখা উচিত কোথাও ভুল হয়েছে কিনা। আপনার এই কার্ডটি ভুল হয়ে থাকলে সাথে সাথে অনলাইনের মাধ্যমেই আপনি পরিবর্তন করতে পারবেন খুব সহজেই। একবার কার্ডটি ইস্যু হয়ে গেলে পুনরায় রিইস্যু করার জন্য অনেক ঝামেলা এবং সময় সাপেক্ষ ব্যাপার, খরচের কথা নাহয় বাদ দিলাম।
আপনার কার্ডটি একবার ইস্যু হয়ে গেলে তা পুনরায় রিইস্যু করার জন্য টাকার দরকার পড়বে। একটি তথ্য কেবলমাত্র একবার পরিবর্তনের সুযোগ পাবেন। যদি সংশোধন করার পর যদি আবার নতুন করে সংশোধনের কোনো সুযোগ থাকবেনা। তাই আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করে নেওয়া উচিত। নিচে কিভাবে জাতীয় পরিচয় পত্র চেক করবেন তার কয়েকটি ধাপ আলোচনা করা হলো।
১. প্রথম ধাপঃ NID Wallet ডাউনলোড (Voter ID Card Check)
জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করার জন্য আপনাকে সবার আগে যে কাজটা করে নিতে হবে তা হলো আপনাকে আপনার মোবাইল দিয়ে Google Play Store থেকে NID Wallet নামের এন্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। এর জন্য আপনাকে আপনার মোবাইলের Google Play Store চালু করতে হবে। তারপর Google Play Store এর সার্চবারে NID Wallet লিখে সার্চ করতে হবে। আপনার সামনে যে অ্যাপটি আসবে তা আপনাকে ডাউনলোড করে নিতে হবে। আপনি যদি NID Wallet অ্যাপটি আপনার মোবাইলে ডাউনলোড করে থাকেন, তাহলে নিচের চিত্রের মতো দেখাবে।
আপনি যদি NID Wallet অ্যাপটি আপনার মোবাইল ফোনে ইন্সটল করে থাকেন, তাহলে আপনার একটা কাজ হয়ে গেলো। এখন আপনি NID Wallet অ্যাপটি চালু করে যাকিছু আপনার মোবাইল থেকে পার্মিশন চাইবে তা দিয়ে দিতে হবে। সবকিছু পার্মিশন দিয়ে দেওয়ার পর অ্যাপটি বন্ধ করেন, এরপর পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন।
২. দ্বিতীয় ধাপঃ বাংলাদেশ নির্বাচন কার্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (Voter ID Card Check)
জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করার এই ধাপে আপনাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কার্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এর জন্য আপনাকে যেকোন একটি ওয়েব ব্রাউজার চালু করতে হবে। আপনার মোবাইল ফোনটি যদি এন্ড্রয়েড মোবাইল হয়ে থাকে তাহলে আপনার ফোনে Google Chrome নামে অ্যাপটি অবশ্যই থাকবে। চলুন Google Chrome চালু করি। Google Chrome এর সার্চবারে ❝NIDGOVBD❞ লিখে সার্চ করলে নিচের চিত্রের মতো সার্চ ফলাফল আসবে। তারমধ্যে থেকে ❝services.nidw.gov.bd❞ অথবা ❝nidgovbd.com❞ যেকোন একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করার এই ধাপে আপনি ধরলাম ❝services.nidw.gov.bd❞ এই লিংকে প্রবেশ করেছেন। এই লিংকে প্রবেশ করলেই আপনাকে পরবর্তী ধাপে গিয়ে পরবর্তী কাজ করতে হবে।
বিঃদ্রঃ আপনার সামনে যদি অন্য ওয়েবসাইটের লিংক আসে, তবে আপনি অন্য লিংকে না গিয়ে উপরের দেখানো লিংকে প্রবেশ করবেন। আপনি যদি অন্য লিংকে প্রবেশ করেন তাহলে ঐ ওয়েবসাইটের লিংক ঘুরে আবার এই ওয়েবসাইটে নিয়ে আসবে।
৩. তৃতীয় ধাপঃ একাউন্ট রেজিষ্ট্রার (Voter ID Card Check)
উপরিউক্ত ১,২ নং ধাপে আমরা দেখলাম কিভাবে আমরা NID Wallet এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবো। জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করার এই ধাপে আমরা দেখবো কিভাবে উক্ত ওয়েবসাইটে একাউন্ট তৈরি করতে হয়। আপনি যখন বাংলাদেশ সরকারের নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন, সেখানে আপনি দুইটি অপশন পাবেন। একটি অপশন দিয়ে আপনি নতুন ভোটার হিসেবে হালনাগাত করতে পারবেন এবং আরেকটি অপশন দিয়ে আপনি রেজিষ্ট্রার / নিবন্ধন করতে পারবেন। যেহেতু আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করতে চাচ্ছেন, তাই আপনাকে ❝রেজিষ্ট্রার করুণ❞ এই অপশনে ক্লিক করতে হবে। তার ফলে আপনি পরবর্তী ধাপে চলে যাবেন। এই ধাপে আপনি নিচের মতো একটি ওয়েবপেজ দেখতে পাবেন।
উপরিউক্ত ধাপে যখন আপনি বাংলাদেশ সরকারের নির্বাচন কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন তখন আপনি চাইলে বাংলা অথবা ইংরেজি ভার্সন সিলেক্ট করতে পারবেন। যেহেতু আমি বাঙ্গালি তাই আমি বাংলা ভার্সন ব্যবহার করছি।
৪. চতুর্থ ধাপঃ জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার এবং জন্ম তারিখ (Voter ID Card Check)
জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করার উপরিউক্ত ধাপগুলোতে আপনারা দেখলেন কিভাবে আপনারা নির্বাচন অফিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হয়। প্রবেশ করার পর আপনি কোন লিংকে প্রবেশ করবেন তা বলা হলো। জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করার এই ধাপে আমরা জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর / ফর্ম নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিয়ে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। একটা কথা অবশ্যই মনে রাখবেন, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর / ফর্ম নম্বর এবং জন্ম তারিখ অবশ্যই ইংরেজি বসাতে হবে। এই সকল তথ্য বসানোর পর আপনি আরেকটা অপশন পাবেন, যেখানে আপনাকে একটা ক্যাপচা কোড বসাতে হবে। সঠিক ও নির্ভুলভাবে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর / ফর্ম নম্বর এবং জন্ম তারিখ বসানোর পর সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে আপনি পরবর্তী আরেকটা ওয়েবপেজে প্রবেশ করবেন। উপরে আমি যা বললাম তা করলে আপনি নিচের মতো একটা ওয়েবপেজ পাবেন।
আপনার যদি জাতীয় পরিচয়পত্র থাকে এবং অনলাইন অ্যাকাউন্ট না করে থাকেন তাহলে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর অথবা ফর্ম নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিয়ে রেজিস্টার করতে পারবেন। এরপরে আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করতে পারবেন।
৫. পঞ্চম ধাপঃ ভোটারদের ঠিকানা ভেরিফিকেশন (Voter ID Card Check)
আমরা মনে করি আপনারা খুব গুরুপ্তপূর্ণ কয়েকটা ধাপ পার হয়ে গেছেন। এই ধাপগুলো অতিক্রম করার পর যখন আপনি এই ধাপে প্রবেশ করবেন, তখন আপনার ঠিকানার ভেরিফিকেশন চাইবে। জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করার এই ধাপে আপনাদেরকে নিজের স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা প্রবেশ করাতে হবে। বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার এই ধাপে আপনাকে আপনার বিভাগ, জেলা ও উপজেলা সিলেক্ট করতে হবে। এই ধাপটি সঠিক ও নির্ভুলভাবে না বসালে আপনি কখনোই পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করতে পারবেন না। কারণ, এই ধাপে আপনার প্রবেশ করানো ভোটার আইডি কার্ডের ফর্মের সাথে বা জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বারে সাথে চেক করে দেখবে যে সবকিছু ঠিক আছে কিনা। সবকিছু ঠিক থাকলে আপনি পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করতে পারবেন।
জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করার এই ধাপে আমরা এই ধাপে যদি আপনারা আপনার তথ্যগুলো সঠিকভাবে না বসান তাহলে আপনি পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করতে পারবেন না। তাই সব তথ্য সঠিক ও নির্ভুলভাবে দিবেন।
৬. ষষ্ঠ ধাপঃ মোবাইল নাম্বার যাচাই (Voter ID Card Check)
আপনি যদি উপরিউক্ত ধাপসমূহ পার হয়ে তাহলে আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) আরও একধাপ এগিয়ে যাবেন। জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করার এই ধাপে আপনারা ভোটার তথ্য হালনাগাত করার সময় যে মোবাইল নাম্বারটি দিয়েছিলেন, সেই নাম্বারটি এখন ভেরিফাই করতে বলবে। যদি আপনার কাছে ঐ নাম্বারটি না তাহলে আপনি নাম্বার পরিবর্তনের একটি অপশন পাবেন। আপনি যদি পরিবর্তন করতে চান তো নির্ভয়ে পরিবর্তন করতে পারেন। পরিবর্তন করলে অবশ্যই সচল নাম্বারটি প্রবেশ করাবেন। সেই মোবাইল নাম্বারে একটি OTP Code আসবে। এই জন্যই যে নাম্বারটি আপনারা প্রবেশ করাবেন তা জেনো খোলা থাকে।
আপনার বিদ্যমান মোবাইল নম্বর প্রদর্শিত হয়েছে। আপনি যদি এই মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেন তবে এই নম্বরেই যাচাইকরন কোডটি পাবেন। আপনি চাইলে মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করতে পারেন।
৭. সপ্তম ধাপঃ মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই করার ওটিপি কোড যাচাই (Voter ID Card Check)
এই ধাপে আসার জন্য আপনাকে যেকোন একটি অপশন সিলেক্ট করতে হবে। আপনি যদি আপনার নাম্বার পরিবর্তন করতে চান তো করতে পারেন। আর যদি আপনি পরিবর্তন না করেন তাহলে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করার এই ধাপে আপনি যদি আপনার মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করেন, তাহলে আপনার নাম্বারটি অবশ্যই জেনো খোলা থাকে। সাবমিট করার পর আপনি কিছুক্ষণ পর OTP Code যা আপনাকে উক্ত সময়ের মধ্যে বসিয়ে পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করতে হবে। আপনি নিচের পিকে তা দেখতে পাবেন।
এই ধাপের সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে নিচের মেসেজটি দেখতে পাবেন। আপনার মোবাইলে ছয় সংখ্যার যাচাইকরন কোডটি পাঠানো হয়েছে । অনুগ্রহ করে কোডটি প্রবেশ করান এবং সামনে অগ্রসর হোন। যদি যাচাইকরন কোডটি না পেয়ে থাকেন তাহলে অনুগ্রহপূর্বক নূন্যতম ১ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং নতুন কোড পেতে পুনরায় পাঠান বাটনে উল্লেখিত সময় পরে ক্লিক করুন।
৮. অষ্টম ধাপঃ ফেস ভেরিফিকেশন (Voter ID Card Check)
উপরিউক্ত ৭টি ধাপের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন ধাপ এটা, কেননা এই ধাপ কেবল সেই পার হতে পারবে যার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করতে চান। কেননা, এই ধাপে ফেস ভেরিফিকেশন করা হয়। যদি জাতীয় পরিচয় পত্রের চেহেরার সাথে যদি উক্ত ব্যক্তির চেহেরা না মিলে তাহলে পরবর্তী ধাপে আপনি যেতে পারবেন না। তাই কেবল আপনি শুধু আপনার নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করতে পারবেন। এই ধাপে আপনি নিচের লেখাগুলো দেখতে পাবেন।
- আপনার মোবাইল-এ NID Wallet এপ্লিকেশনটি ইনস্টল করুন।
- QR স্ক্যান করে পরবর্তী ধাপ অনুসরণ করুন।
- যাচাই প্রক্রিয়াটি শেষ হলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে।
যেহেতু আমরা NID Wallet ইন্সটল করেছি প্রথম ধাপেই তাই আর নতুন করে এই ধাপে ইন্সটল করার দরকার নেই। আপনি যদি মোবাইল দিয়ে প্রবেশ করেন তাহলে নিচের পিকের মতো দেখবেন কিন্তু আপনি যদি কম্পিউটার দিয়ে প্রবেশ করেন তাহলে একটি QR Code আসবে। যদি আপনি মোবাইল দিয়ে প্রবেশ করতে চান তাহলে “Tab To Open NID Wallet” ক্লিক করতে হবে। আর যদি আপনি কম্পিউটার দিয়ে প্রবেশ করেন তাহলে QR Code টি NID Wallet অ্যাপটি স্ক্যান করলে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের প্রোফাইলে প্রবেশ করবেন।
এই ধাপটি ছাড়া বাকি সব ধাপ বৃথা হয়ে যাবে। তাই এই ধাপে আপনার ফেস ভাল করে ভেরিফিকেশন করে নিবেন।
৯. নবম ধাপঃ পাসওয়ার্ড সেটআপ (Voter ID Card Check)
জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করার এই ধাপে আপনি তখনই প্রবেশ করতে পারবেন, যখন আপনি আপনার ফেস ভেরিফাইড করবেন। উপরের ৮ নং ধাপটি কমপ্লিট করার পর আপনাকে ৯ম ধাপে অটোমেটিক ভাবে নিয়ে আসবে। এই ধাপে প্রবেশ করলে আপনি নিচের মতো ওয়েবপেজ দেখবেন। এই পেজে আপনাকে পাসওয়ার্ড সেটআপ করতে বলবে। যেহেতু আপনি আপনি একটি একাউন্ট তৈরি করে প্রবেশ করলেন তাই পাসওয়ার্ড সেটআপ করতে বলছে।
এই পেজে আপনি উপরের মেন্যুতে ডাউনলোড অপশন দেখতে পাচ্ছেন। যা ব্যবহার করে আপনি সরাসরি জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করতে পারবেন পিডিএফ ফরম্যাটে ডাউনলোড করে। যেহেতু আপনি পরবর্তীতে প্রবেশ করবেন তাই পাসওয়ার্ড সেটআপ করে নিবেন।
আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার অ্যাকাউন্টটি সুরক্ষিত করার পরামর্শ দিচ্ছি। আপনি যদি পাসওয়ার্ড ভুলে যান তবে পুনরায় সেট করার জন্য আপনার মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি কোনও পাসওয়ার্ড সেট না করেন তবে আপনার অ্যাকাউন্টে পুনরায় প্রবেশ করতে আপনার এই প্রক্রিয়াটির পুনরাবৃত্তি করতে হবে।
১০. দশম ধাপঃ জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আপনার প্রোফাইল (Voter ID Card Check)
উপরিউক্ত সকল ধাপ কমপ্লিট করার পর সর্বশেষে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করতে পারবেন। এই ধাপে আপনি মোট ৪টি অপশন দেখতে পাবেন। প্রথমটি আপনার প্রোফাইল, দ্বিতীয়টি রিইস্যু, তৃতীয়টি স্মার্ট এনআইডি কার্ড স্ট্যাটাস এবং সর্বশেষ জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড অপশন দেখবেন। আপনি নিচের মত পিক দেখতে পাবেন।
এই ধাপটি শেষ করলে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। কিভাবে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক (Voter ID Card Check) করতে পারবেন।
পরিশেষে একটা কথা বলতে চাই, আপনার যদি এই অনুচ্ছেদটি উপকার হয় তবে পোস্ট সবার সাথে শেয়ার করবেন। শেয়ার করলে আপনার সাথে সাথে আপনার বন্ধু ও অন্যান্য ঘনিষ্ঠ জনের উপকারে লাগতে পারে।
জাতীয় পরিচয় পত্র কি?
জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার কিভাবে দেখবো?
জাতীয় পরিচয় পত্র কি?
জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার কিভাবে দেখবো?
মোবাইল দিয়ে এস.এম.এস এর মাধ্যমে কিভাবে জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার দেখবো?
কিভাবে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করবো?
এন আইডি মানে কি?
জাতীয় পরিচয় পত্র কত সালে শুরু হয়?
জাতীয় পরিচয় সক্রান্ত
আপনার ভোটার নিবন্ধন হয়েছে কিন্তু জাতীয় পরিচয় পত্র পাননি?
আপনি কি নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র চান?
⇒ অনলাইনে পূরণকৃত ফর্মের প্রিন্ট কপি।
⇒
বয়স প্রমানের জন্য এসএসসি সনদ/ জন্ম নিবন্ধন সনদ / পাসপোর্ট / ড্রাইভিং লাইসেন্স /টি.আই.এন -(বয়স প্রমাণের সনদ)।⇒
আপনার ঠিকানা ভেরিফিকেশনের জন্য ইউটিলিটি বিলের কপি/বাড়ী ভাড়ার রশিদ/হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ।⇒
প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নাগরিকত্বের সনদ।⇒ আপনার বাবা ও মায়ের অথবা স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের কপি।
বিঃদ্রঃ আপনার বয়স যদি চলতি বছরের ১ জানুয়ারী বা তার পূর্বে ১৮ বছর হয়ে থাকে তাহলে আপনি ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন।
আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য হালনাগাদ করতে চান?
ক) আপনি ভোটার হয়ে থাকলে রেজিস্ট্রেশন করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের সুবিধা নিন এবং রেজিস্ট্রেশন করে আপনি নিম্নলিখিত সুবিধাসমূহ পেতে পারেনঃ
⇒ নিজস্ব প্রোফাইল তথ্য।
⇒ নির্বাচনকালীন ভোটকেন্দ্র সম্পর্কিত তথ্য।
⇒ কার্ডের তথ্য পরিবর্তন/সংশোধন/হালনাগাদের জন্য আবেদন।
⇒ ঠিকানা অথবা ভোটার এলাকা পরিবর্তন/সংশোধন/হালনাগাদের আবেদন।
⇒ হারানো/নষ্ট কার্ড পুনর্মুদ্রণের আবেদন ।
⇒ আবেদনপত্রের বর্তমান অবস্থার তথ্য।
⇒ ছবি,স্বাক্ষর ইত্যাদি পরিবর্তনের এপয়েন্টমেন্ট করা।
খ) প্রয়োজনীয় তথ্যাবলীঃ
⇒ তথ্য পরিবর্তনের জন্য, তার সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করুন।
⇒ সাধারন জিজ্ঞাসা লিংকে জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত তথ্য দেখুন।
জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য হালনাগাদের জন্য কি কি দলিলাদি প্রয়োজন?
⇒ শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এসএসসি/সমমান হইলে এসএসসি/সমমান সনদপত্র।
⇒ অন্যান্য ক্ষেত্রে, জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর পাসপোর্ট/জন্ম নিবন্ধন সনদ/ড্রাইভিং লাইসেন্স/ট্রেড লাইসেন্স/কাবিননামার সত্যায়িত অনুলিপি।
⇒ শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এসএসসি/সমমান না হইলে এবং তিনি সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, আধা-স্বায়ত্বশাসিত কিংবা সংবিধিবদ্ধ কোনো সংস্থায় চাকুরীরত হইলে, চাকুরী বই/মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও)।
⇒ নামের আমূল পরিবর্তনের ক্ষেত্রে, প্রার্থিত পরিবর্তনের যথার্থতা সম্পর্কে গ্রহণযোগ্য দলিলাদি [এসএসসি সনদ/পাসপোর্ট/চাকুরী বই/মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও)/ড্রার্ইভিং লাইসেন্স, যাহার ক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য] ছাড়াও ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পাদিত হলফনামা ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির কপি।
⇒ ধর্ম পরিবর্তনের কারণে নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পাদিত হলফনামা ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির কপি এবং আবেদনের যথার্থতা সম্পর্কে গ্রহণযোগ্য দলিলাদি (শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/জন্ম নিবন্ধন সনদ, ইত্যাদি যাহার ক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য)।
(২) বিবাহ বা বিবাহ বিচ্ছেদ বা অন্য কোন কারণে কোনো মহিলা তাহার নামের সহিত স্বামীর নামের অংশ (টাইটেল) সংযোজন বা বিয়োজন বা সংশোধন করিতে চাহিলে, তাহাকে কাবিননামা/তালাকনামা/মৃত্যু সনদ/ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পাদিত হলফনামা/বিবাহ বিচ্ছেদ ডিক্রির সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে। এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, প্রয়োজনে, সরেজমিন তদন্ত করিতে পারিবেন।
(৩) পিতা/মাতার নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে, জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর এসএসসি, এইচএসসি বা সমমান সনদপত্র (যদি উহাতে পিতা/মাতার নাম উল্লিখিত থাকে) এবং জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর পিতা, মাতা, ভাই ও বোনের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে। এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, প্রয়োজনে, সরেজমিন তদন্ত করিতে পারিবেন।
(৪) পিতা/মাতার নামের পূর্বে “মৃত” অভিব্যক্তিটি সংযোজন বা বিয়োজন করিতে চাহিলে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, পিতা/মাতার মৃত্যু সনদের সত্যায়িত অনুলিপি বা তাহাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি ও জীবিত থাকিবার সমর্থনে সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান/পৌর মেয়র/কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হইবে।
(৫) ঠিকানা (বাসা/হোল্ডিং/গ্রাম/রাস্তা/ডাকঘর) সংশোধনের ক্ষেত্রে, সঠিক ঠিকানার স্বপক্ষে বাড়ির দলিল/টেলিফোন, গ্যাস বা পানির বিল/বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র/বাড়িভাড়া রশিদের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে।
(৬) রক্তের গ্রুপ সংযোজন বা সংশোধনের ক্ষেত্রে, উহার স্বপক্ষে ডাক্তারী সনদপত্র জমা দিতে হইবে।
(৭) শিক্ষাগত যোগ্যতা সংশোধনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে।
(৮) টিআইএন/ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর/পাসপোর্ট নম্বর সংশোধনের ক্ষেত্রে, প্রয়োজনে, টিআইএন সনদ/ড্রাইভিং লাইসেন্স/পাসপোর্টের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে।
(৯) অন্যবিধ যে কোনো সংশোধনের ক্ষেত্রে, উক্তরূপ সংশোধনের স্বপক্ষে উপযুক্ত সনদ, দলিল ইত্যাদির সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে।
(১০) আবেদনপত্রের সহিত দাখিলকৃত অনুলিপিসমূহ নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিবর্গ সত্যায়ন করিতে পারিবেন:
⇒ সংসদ সদস্য
⇒ স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি
⇒ গেজেটেড সরকারি কর্মকর্তা
⇒ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান
(১১) অসম্পূর্ণ বা ত্রুটিপূর্ণ আবেদন বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।
নতুন নিবন্ধন প্রক্রিয়ার নির্দেশনাবলী
⇒ অনলাইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনি সঠিকভাবে ভোটার রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পূরণ করতে পারবেন।
⇒ আপনি ইতোমধ্যে ভোটার হয়ে থাকলে পুনরায় আবেদন করার প্রয়োজন নেই।
⇒ নিবন্ধিত ব্যাক্তি পুনরায় আবেদন করলে সেটি দন্ডনীয় অপরাধ নতুন ১৮ বয়সের অধিক, প্রবাসী বা বাদপড়া ভোটারগণ এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন।
ধাপসমূহঃ আপনি নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
⇒ ধাপে ধাপে সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন।
⇒ নিজের পূর্ণনাম ছাড়া সকল তথ্য বাংলায় ইউনিকোডে পুরণ করুন।
⇒ সকল ধাপ সম্পন্ন হবার পরে প্রিভিউএর মাধ্যমে সকল তথ্য পুনর্বার যাচাই করে নিন ।
⇒ পিডিএফ ফাইল তৈরি করে সেটি প্রিন্ট করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ নিকটস্থ নির্বাচন অফিসে জমা দিন।
⇒ আপনার প্রদত্ত তথ্যাদি যাচাই এবং ঠিকানা যাচাইয়ের পরে তথ্যাদি সঠিক নিশ্চিত হলে আপনার নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আপনার মোবাইলে SMS পাঠানো হবে, এর পর অনলাইন থেকেই একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।
বিঃদ্রঃ তিনটি ধাপে (ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য, বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা) নিবন্ধন ফর্ম পূরণ করতে হবে। আংশিক ফর্ম পূরণ করে তা সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে বাকি অংশটুকু পূরণ করার সুবিধা রয়েছে। এর জন্য অন্তত একটি ধাপ সম্পন্ন করতে হবে।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার নির্দেশনাবলী
⇒ প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী পূরণ করে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন।
⇒ আপনার কার্ডের তথ্য ও মোবাইলে প্রাপ্ত এক্টিভেশন কোড প্রদান করুন।
⇒ আপনার মোবাইলে এনআইডি ওয়ালেট অ্যাপটি ডাউনলোড করুন এবং মুখমণ্ডল যাচাই (Face Verification) করে আপনার প্রোফাইলে লগইন করুন।