নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র (NID Card) রেজিষ্ট্রেশন করার পদ্ধতি

জাতীয় পরিচয় পত্র ( NID Card) হলো প্রতিটি দেশের মানুষের জন্য একটা পরিচয় পত্র যা দিয়ে প্রতিটি মানুষকে চিহ্নিত করা যাবে। জাতীয় পরিচয় পত্র (NID Card) বা ভোটার আইডি কার্ড (Voter ID Card) দিয়ে মানুষ তার দেশের একজন নাগরিক হিসেবে পরিচিত লাভ করে থাকে। তাই প্রতিটি মানুষকে উচিত জাতীয় পরিচয় পত্র (NID Card) রেজিষ্ট্রেশন, অনুসন্ধান, ডাউনলোড, সংশোধন, রিইস্যু ও বিস্তারিত জানার। এসব তথ্য জানা থাকলে আপনি একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে নিজেকে দাবি করতে পারেন।

শিরোনামঃ

জাতীয় পরিচয় পত্র (NID Card) রেজিষ্ট্রেশন, অনুসন্ধান, ডাউন*লোড, সংশোধন, রিইস্যু ও বিস্তারিত

একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আপনার যেহেতু জাতীয় পরিচয় পত্র দরকার তাই কিভাবে আপনারা জাতীয় পরিচয় পত্র রেজিষ্ট্রেশন  (NID Card Registration), ভোটার আইডি কার্ড অনুসন্ধান, জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউন*লোড, জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন, এবং জাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়ে ফেললে কিভাবে রিইস্যু করবেন তা বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো।

জাতীয় পরিচয় পত্র (NID) সংক্রান্ত বিষয়ে, নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন সম্বন্ধে, ভোটার আইডি কার্ড নিবন্ধন সম্পর্কে, অনলাইন থেকে কিভাবে এনআইডি কার্ড ডাউন*লোড করা যায়, ভুল হওয়া জাতীয় পরিচয় পত্র (NID) কিভাবে সংশোধন যায় এবং ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে কিভাবে রিইস্যু সম্বন্ধে সকল বিষয়ে লেখা এই আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়তে পারলে আপনার ‍উপকারে আসবে।

প্রতিটি দেশের মানুষের জন্য নাগরিক হওয়া কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেকোনো দেশে নাগরিক হওয়ার জন্য দুইটি বিষয় জড়িত। আপনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হতে চান তাহলে আপনার বয়স ১৬ বছর হতে হবে এবং কোনো বাংলাদেশী নাগরিকের সন্তান হতে হবে। তাহলে আপনি অফলাইন বা অনলাইনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

জাতীয় পরিচয় পত্র পাওয়ার অনেক দুটি উপায় আছে – একটি অফলাইন এবং অপরটি অনলাইন। আপনি যদি সঠিক ও নির্ভুল তথ্য দিয়ে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রটি  পেতে চান তাহলে অনলাইন হচ্ছে সবচেয়ে ভালো উপায়।

সূদুর ভবিষ্যতে প্রায় প্রতিটি দেশেই হয়তো অনলাইন প্রক্রিয়াটি সবার উপর লাঘু করা হবে। যেহেতু প্রতিটি হালনাগাদ পরিচালনা করতে বহু অর্থ খরচ হয়ে যায় তাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে আর হয়তো জাতীয় পরিচয় পত্র হালনাগাদ ও ভোটার নিবন্ধন (VOTER REGISTRATION)  কার্যক্রম চালু করবেনা বাংলাদেশ সরকার।  বাংলাদেশের প্রতিটি  নাগরিকের সন্তান-সন্তনি কেবল অফলাইন বা অনলাইনে মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র পাওয়ার  জন্য আবেদন করতে হবে।

এই অনুচ্ছেদটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে প্রতিটি ভিজিটর সুবিধা পায়। তাই এই অনুচ্ছেদটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়বেন আশাবাদী।

জাতীয় পরিচয় পত্র (NID CARD) এর গুরুত্ব

প্রতিটি দেশের মানুষের জন্য বাসস্থান আবশ্যক। সেই সাথে সে কোন দেশে বা অবস্থানে বসবাস করে আছে তার স্থান জানা দরকার। সেই জায়গাটি কোন দেশে অবস্থিত তার, সেই জায়গায় বসবাসকারী সবাই সেই দেশের পরিচয় বহন করে।

যদি আপনাকে কেউ প্রশ্ন করে, ❝আপনি কোন দেশে বসবাস করেন?❞ এই প্রশ্নের উত্তরে যদি আপনি কোনো দেশের কথা বলেন যে আমি সেই দেশে বাস করি। এই উত্তর সবার কাছে ভেরিফাই নাও হতে পারে।

যদি আপনি কোনো দেশে বসবাস করতে চান, তাহলে আপনাকে সেই দেশের একজন নাগরিক হতে হবে। আর নাগরিক হতে হলে আপনাকে অবশ্যই জন্মগ্রহণ করতে হবে বা সেই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের অনুমতি নিতে হবে।

জাতীয় পরিচয় পত্র হলো প্রতিটি মানুষের একটা পরিচয় পত্র যা দিয়ে একজন মানুষকে চেনা যায়। ভোটার আইডি কার্ড যদি কোনো দেশের মানুষের একটা পরিচয় পত্র হয়ে থাকে, তাহলে এই পরিচয় পত্রটি একজন মানুষের কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বলে বোঝানো যাবেনা।

একজন সচেতন নাগরিকের জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র (NID Card) বা ভোটার আইডি কার্ড (Voter ID Card) খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সনদ। এই আইডি কার্ডটি প্রতিটি মানুষের জন্য পরিচয় পত্র। এই পরিচয় পত্রটি দিয়ে আপনি একজন মানুষ, তিনি কোন দেশের নাগরিক তা আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র (NID Card) এর মাধ্যমে খুব সহজেই জানা যায়।

See also  মৃত ব্যক্তির NID Smart Card নিন খুব সহজেই ২০২৩।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি কাজের জন্য পরিচয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি কোনো দোকানে কোনো কিছু বাকি করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই সেই দোকানের পরিচয় থাকতে হবে।  কিন্তু আপনি যদি সেই দোকানদারের পরিচিত না হোন তাহলে কি আপনি সেই দোকান থেকে বাকি করতে পারবেন। উত্তর অবশ্যই আপনার মনে আসছে। তাই প্রতিটি কাজে আপনার পরিচয় আপনার মূল্য দিবে।

দেশের স্বার্থে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে আপনার যে পরিচয় পত্রটি আপনার পরিচয় বহন করে সেটা হলো জাতীয় পরিচয় পত্র (NID Card)। জাতীয় পরিচয় পত্র ছাড়া আপনি রাষ্ট্রের কোনো কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র (NID CARD) নিবন্ধনের সুবিধা কি কি?

জাতীয় পরিচয় পত্র (NID CARD) হালনাগাদ করার সময় কিছু ভুল হলে সেই ভুলের জন্য অনেক মাশুল দিতে হয়। হালনাগাদের দায়িত্বে যারা থাকে মাঝে মাঝে তাদের উপর মাঝে মাঝে সন্দেহ যাগে যে তারা ঠিক মতো লেখাপড়া করেছে কিনা? এর মূল কারণ হলো এই হালনাগাদ করার সময় অনেক ভুলের শিকার হয়েছিলেন এরকম বহু নাগরিক আছে বাংলাদেশে।

আপনি যদি অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র হালনাগাদ করেন, তাহলে হয়তো সবচেয়ে নির্ভুল ও সঠিকভাবে আপনি আপনার তথ্য গুলো দিতে পারবেন। তাছাড়া অফলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র রেজিষ্ট্রেশন করতে গেলে অনেক ভোগান্তির শিকার হবেন এবং অফলাইনে আপনি যদি আবেদন নিয়ে জান তাহলে অনেক আনুষ্ঠানিকতা লক্ষ্য করবেন।

অফলাইনে আবেদন করলে আপনার অনেক কালক্ষেপণ হতে পারে। আর আপনি যদি ভালো করে আপনার ফর্ম পূরণ করেন তারপরও সেই ফর্ম পূরণ করতে ভুল করতে পারে।

নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র (NID CARD) করার নিয়মসমূহ

জাতীয় পরিচয় পত্র ছাড়া একজন মানুষ কত প্রকারের বিপদে পড়তে পারে সে নিজেও জানেনা। যে ঠেকে সেই শিখে। যদি আপনি অসচেতন নাগরিক হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি অনেক বিপদে পড়বেন যদি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকে।

জাতীয় পরিচয় পত্রটি ছাড়া একজন মানুষের নাগরিক হিসেবে তার কোনো অস্তিত্ব নেই। সে রাষ্ট্রের কোনো কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবেনা। সকল প্রকারের সরকারি সেবা থেকে বিরত থাকবে।

আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র (NID CARD) না থাকলে আপনি, আপনার নামে কোনো জমি কিনতে পারবেন না। আরও বিভিন্ন সেবা যেমন – সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন, বিভিন্ন চাকরির জন্য আবেদন, পাসপোর্ট তৈরির জন্য আবেদন করতে পারবেন না। এছাড়া কিছুদিন আগে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য যে রেজিষ্ট্রেশন করতে হয় তাও ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া আবেদন করতে পারবেন না। তাহলে বুঝতে পারছেন যে জাতীয় পরিচয় পত্র রেজিষ্ট্রেশন করলে কি সমস্যা হয়। আজকের এই পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র কিভাবে করবো তার নিয়ম।

নতুনভাবে জাতীয় পরিচয় পত্র (NID CARD) করার প্রক্রিয়াটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। যেহেতু প্রতিনিয়ত দেশে নতুন শিশুর জন্ম হচ্ছে, তাই প্রতিনিয়ত নতুন নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য আবেদন জমা পড়ছে। একজন আবেদনকারীর বয়স যদি ১৬ বছর বা তার বেশি হয়ে থাকে তাহলে আপনি অফলাইন বা অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র (NID CARD) এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর যদি বর্তমানে আপনার বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হয়ে থাকে তাহলে আপনি নতুন জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের সকল কার্যক্রম অনলাইন হচ্ছে। তাই আপনি ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র রেজিষ্ট্রেশন অনলাইনের মাধ্যমে করতে পারবেন।

যখন আপনি অনলাইনে আবেদন করবেন তখন সবকাজ শেষ হলে আপনি একটি পিডিএফ ফাইল পাবেন। সেই পিডিএফ ফাইলটি প্রিন্ট করে আপনার উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে হাজির হয়ে, এর সাথে আরও কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে জমা দিলেই কাজ হয়ে যাবে। তারপর কিছুদিন পর বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া শেষ করে আপনার নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র (NID CARD) পেয়ে যাবেন। নতুন ভোটারদের হালনাগাদ করার জন্য অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়মগুলো নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হচ্ছে।

জাতীয় পরিচয় পত্র (NID CARD) এর জন্য আবেদন করার যোগ্যতা

নতুনভাবে জাতীয় পরিচয় পত্র রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য আপনার নিম্নলিখিত যোগ্যতা থাকতে হবে। অন্যথায় আপনি আবেদন করতে পারবেন না।

জাতীয় পরিচয় পত্র রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে হবে অথবা আপনার পিতা একজন বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। তারপর আপনার বয়স অবশ্যই ১৬ বছর বা তার বেশি হওয়া লাগবে। পূর্বে জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করেননি এমন ব্যক্তি হতে হবে। তাহলেই কেবল আপনি আপনার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র (NID CARD) এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

জাতীয় পরিচয় পত্র এর জন্য আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে যা পূর্বেই বলা হয়েছে। সকল তথ্য নির্ভুল ও সঠিকভাবে বসিয়ে আপনি একটি পিডিএফ ফাইল পাবেন। এই পিডিএফ ফাইলের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে। যে সকল কাগজপত্র লাগবে তার লিস্ট নিচে দেয়া হল ।

প্রিয়  ভিজিটর, আপনি যদি নির্ভুল ও সঠিকভাবে আপনার অনলাইনে আবেদনকৃত পিডিএফ ফাইলটি প্রিন্ট করে, উপরিউক্ত লিস্টের কাগজপত্র সংযুক্ত করে আপনার উপজেলার নির্বাচন কার্যালয় অফিসে জমা দেন তাহলে আপনি কিছুদিনের মধ্যেই আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র (NID CARD) টি পেয়ে যাবেন। এর জন্য প্রথমে আপনাকে বায়োমেট্রিক তথ্য দেওয়ার জন্য আপনাকে ডাকবে তারপর কিছুদিন পর যখন আপনার ডিজিটাল আইডি কার্ডটি চলে আসবে তখন আপনি জাতীয় পরিচয় পত্রটি উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে থেকে সংগ্রহ করতে বলবে।

এই অনুচ্ছেদে আমরা আপনাদের দেখাবো অনলাইনে কিভাবে আপনি ঘরে বসেই আপনার হাতের মোবাইল ফোন দিয়ে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র (NID CARD) পাওয়ার জন্য আবেদন ফর্ম পূরণ করবেন।  অনলাইনে নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র রেজিষ্ট্রেশননের  জন্য  অনলাইন আবেদন করার সুবিধা হল, আপনি বাড়িতে বসে আবেদন করতে পারবেন এবং ভুল হবার সম্ভাবনা খুব কম থাকবে। জাতীয় পরিচয় পত্রে ভুল হলে অনেক হয়রানি এবং সময়ের ব্যাপার।

শুরুতে আপনাকে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন অফিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে যাওয়ার জন্য আপনাকে টাইপ করতে হবে NID GOV BD।  এই কথা লিখে গুগলে সার্চ করলে নিম্নোক্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করলে, খুব সহজে অনলাইনে নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র (NID CARD) এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ধাপ-১ঃ

নতুন ভোটারদের জাতীয় পরিচয় পত্র (NID CARD) বা ভোটার আইডি কার্ড করতে হলে services.nidw.gov.bd ঠিকানায় প্রবেশ করতে হবে। এর জন্য আপনি কপি করেও প্রবেশ করতে পারবেন অথবা গুগলে সার্চ করেও প্রবেশ করতে পারবেন। Google.com গিয়ে সেখানে সার্চ করুন NIDGOVBD দিয়ে। তাহলে উক্ত ওয়েবসাইটের লিংক পাবেন। নতুন ভোটার হিসেবে নিজের নাম হালনাগাদ করার জন্য আপনাকে একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল এবং একটা ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার দরকার হবে।

নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যাওয়ার পর নিচের মতো একটি ইন্টারফেস আসবে। যেখানে আপনি Get Started একটি বাটন পাবেন। আপনি যদি রেজিষ্ট্রেশন ফর্ম পূরণ করতে চান তাহলে এই বাটনে ক্লিক করতে হবে।

ধাপ-২ঃ

Get Started বাটনে প্রেস করার পর আপনার কম্পিউটার স্ক্রিনে নিচে দেখানোর মতো একটি  ওয়েবপেজ আসবে। নিচের ওয়েবপেইজের মতো একটি ওয়েবপেজ আসার পর আপনাকে সকল ফিল্ড সঠিক ও নির্ভুল ভাবে প্রবেশ করতে হবে। এই ফিল্ডগুলোতে যে বর্ণমালায় আপনার  নাম দিতে বলা হয়ে সে বর্ণমালায় দিবেন। তা না হলে ভুল হয়ে যাবে। তারপর জন্মতারিখ ফিল্ডে জন্মতারিখ দেবেন। ভুল নাম, ভুল জন্মতারিখ দিলে পরবর্তীতে তা সংশোধন করতে অনেক মুশকিল তাই সবকিছু  সঠিক ও নির্ভুল প্রবেশ করতে হবে।

২য় ধাপ অনুযায়ী সকল ফিল্ড সঠিকভাবে পূরণ করলে আপনি ৩য় ধাপে আসতে পারবেন। এই ধাপে আপনাকে আপনার পরিচয় ভেরিফাই করার জন্য মোবাইল ভেরিফিকেশন করতে বলবে। যেখানে আপনি আপনার মোবাইল নাম্বারটি দেওয়ার পর নিচের ওয়েবপেইজটি আসবে। একটি কথা মনে রাখবেন এখানে অবশ্যই চালুকৃত মোবাইল নাম্বার দিবেন। সেই মোবাইলে একটা ৬ ডিজিটের ওটিপি কোড আসবে। নিচে দেখানো ছবিতে লক্ষ্য রাখুন।

ধাপ-৪ঃ

৩য় ধাপে আপনার মোবাইল নাম্বার দেওয়ার পর আপনার মোবাইলে একটি OTP কোড আসবে। এই কোডটি সঠিকভাবে সময় থাকতে বসিয়ে  সাবমিট করার পর আপনি নিচে দেখানো ওয়েবপেইজটি আপনার মোবাইল স্ক্রিনে আসবে। এই ধাপে আপনাকে একটি Username ও Password সিলেক্ট করে  উক্ত ফিল্ডে বসানোর পর  Continue বাটনে ক্লিক করলে আপনার জন্য একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে। আপনাকে দিয়ে তৈরিকৃত একাউন্টটির Username ও Password আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে। যদি কোনো ভুল হয় তাহলে পরবর্তীতে আপনি এডিট করতে পারবেন লগিন করার পর।

ধাপ-৫ঃ

নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র (NID CARD) রেজিষ্ট্রেশন করার আগের ধাপগুলোতে আমরা নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে  কিভাবে অ্যাকাউন্ট তৈরি করা যায় তা দেখানো হলো। এখন আমরা দেখব আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের আবেদন জন্য অন্যান্য তথ্য কিভাবে প্রবেশ করাবেন। একাউন্ট তৈরি করার পর নিচের ছবির মত একটি ওয়েবপেজ আসবে।

See also  জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই করার নিয়ম। NID Card Verification Online
ধাপ-৬ঃ

এই ধাপে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র (NID CARD) এর এই ওয়েবপেইজে আপনাকে আপনার প্রোফাইল ভালো করে সাজিয়ে নিতে হবে। আপনার প্রোফাইল ভালো করে সাজানোর জন্য আপনাকে আপনার প্রোফাইল পিক আপলোড করতে হবে। তারপর আপনাকে আপনার প্রোফাইলের সবকিছু এডিট করার জন্য Profile Details এ ক্লিক করতে হবে। Profile Details ক্লিক করার পর ডেস্কটপ ভিউ করেন তাহলে নিচের পিকের মত ইন্টারফেস আসবে। যা আপনাকে নির্ভুল ও সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।

ধাপ-৭ঃ

ধাপ ৬ এর সকল স্টেপস সঠিকভাবে বসিয়ে আপনাকে একটি ১০০% সাজানো প্রোফাইল তৈরি করতে edit বাটনে ক্লিক করতে হবে। ফলে  নিচের ছবির মত একটি স্ক্রীনে সবকিছু ভেসে উঠবে। যা আপনাকে ভালো করে প্রবেশ করতে হবে যাতে কোনো ভুল না হয়।

ধাপ-৮ঃ

৭ম ধাপটি সম্পুর্ণ করার পর চলে আসবে ৮ম ধাপে। এই ধাপে আপনাকে তিন ধরনের তথ্য দিতে হবে। Personal Information, Identification Information , Address ।  এই তিনটি information খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই তথ্য গুলো ভুল হলে আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র (NID CARD) এর জন্য আবেদন করতে পারবেন না বা নির্বাচন কার্যালয়ে আপনার প্রোফাইল অনুমোদন দেওয়া হবে না। তাই  এই তিনটা তথ্য  খুব নির্ভুল ও সঠিকভাবে প্রবেশ করতে হবে। সবগুলো তথ্য ভালো করে প্রবেশ করার পর  এডিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। যার ফলে নিচের মতো ইন্টারফেস আসবে।

এখানে একজন নতুন ভোটারদের বাংলায় নাম, জন্ম তারিখ , ব্লাড গ্রুপ , বাবা ও মায়ের সকল তথ্য এবং অবশিষ্ট যতগুলো জায়গা আছে তা  সঠিকভাবে সবকিছু তথ্য নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে। আপনাদের একটা বিষয় মনে রাখা উচিত যে কোন ফিল্ড পূরণ করতে হবে আর কোন তথ্য পূরণ করতে হবে না। তাহলে সুবিধা হয় এবং কম সময় লাগে। মনে রাখবেন যেসকল ফিল্ড লাল স্টার দেয়া রয়েছে সে গুলো অবশ্যই পুরন করতে হবে।  এই ফর্মে সবকিছু পূরণ হয়ে গেলে এরপর Identification Information এ চলে যাবেন যেমনটি নিজের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন।

ধাপ-৯ঃ

জাতীয় পরিচয় পত্র (NID CARD) রেজিষ্ট্রেশন এর জন্য Identification Information এই ধাপে আপনাকে আপনার পেশা, শিক্ষাগত যোগ্যতা , ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার , পাসপোর্ট নাম্বার, ধর্ম ইত্যাদি বিষয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে।

Identification Information এ কাজ শেষ হলে এরপর আপনাকে Address  Tab এ যেতে হবে। এই Address  Tab আপনাকে আপনার বসবাসের স্থায়ী ঠিকানা, অস্থায়ী ঠিকানা ইত্যাদি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। আরেকটি বিষয় হলো যে আপনি যদি স্থায়ী ঠিকানায় ভোটার হতে চান তাহলে স্থায়ী ঠিকানা সিলেক্ট করতে হবে অথবা আপনি যদি অস্থায়ী ঠিকানায় ভোটার হতে চান  অস্থায়ী ঠিকানা সিলেক্ট করতে হবে। আপনি Address  Tab নামক ট্যাবে এই অপশন সিলেক্ট করার জন্য চেকমার্ক পাবেন। তাই আপনাকে সবকিছু সাবধানে  সিলেক্ট করা উচিত।

ধাপ-১০ঃ

উপরের সকল ধাপের  তথ্যগুলো নির্ভুল ও সঠিকভাবে  প্রবেশ  করা শেষ হয়ে গেলে Next বাটনে ক্লিক করতে হবে। Next বাটনে ক্লিক করার আপনি পরবর্তী ধাপে যেতে হবে। Next বাটনে ক্লিক করার পর আপনি নিচের মতো ইন্টারফেস দেখতে পাবেন।

এখানে নতুন ভোটারদের প্রয়োজনীয় সকল Documents আপলোড করতে হবে। কিন্তু আপনি যদি চান যে পরে আপলোড করবো সেতাও করা যাবে। এরজন্য আপনাকে পরবর্তী ধাপে যেতে পারেন। এর জন্য আপনাকে Next বাটনে ক্লিক করতে হবে।

Next বাটনে ক্লিক করার পর আপনি উপরের মত একটি ওয়েবপেজ দেখতে পাবেন। যেখানে আপনি সাবমিট বাটনে ক্লিক করলেই অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড এর আবেদন জমা হয়ে যাবে। এখানে আপনি একটি পিডিএফ ফাইল পাবেন। সেটা প্রিন্ট করতে হবে।

ধাপ-১১ঃ

নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়মের এই ধাপে আরেকটি প্রক্রিয়ার কথা আলোচনা করবো। এই প্রক্রিয়ায় আপনি যে অনলাইনে আবেদন করার পরে একটি পিডিএফ পাবেন। সেটি মূলত একটি আবেদন ফরম। সেই আবেদন ফর্মটি প্রিন্ট করে সেই ফিল্ড গুলো পূরণ করতে হবে। সেই আবেদন ফরমটিতে কিছু ফিল্ড খালি দেখতে পাবেন।

এই খালি ফিল্ড গুলোতে একজন সনাক্তকারী আইডি কার্ড নম্বর দিতে হবে এটি হতে পারে আপনার পিতা মাতা বার নিকট আত্মীয়। এরপর, আপনাকে সেই আবেদন ফরমের সাথে কিছু ডকুমেন্ট যুক্ত করে হবে যা পূর্বে আলোচনা করেছি। আপনাদের সুবিধার্থে এখানে আবার দিয়ে দিচ্ছি।

  • অনলাইনে আবেদন করা ফর্ম এর প্রিন্ট কপি।
  • এসএসসি অথবা সমমানের সার্টিফিকেট এর প্রিন্ট কপি।
  • বয়স প্রমাণের জন্য জন্ম সনদ।
  • বাবা-মা এর আইডি কার্ডের ফটোকপি।
  • স্থানীয় ঠিকানা প্রমাণের বাড়ির বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি।
  • ঠিকানা প্রমাণের জন্য ভাড়া বাড়িতে থাকলে বাড়ি ভাড়ার রশিদ হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ।
  • মোবাইল নম্বর এবং
  • ব্লাড গ্রুপ এর প্রমাণ পত্র।

আবেদন ফর্মটিতে উপরিউক্ত কাগজপত্র সংযোজন করে, আপনার উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় অফিসে জমা দিতে হবে। নির্বাচন অফিস উক্ত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে সব ইনফরমেশন ঠিক থাকলে পরবর্তীতে আপনার সাথে তারা যোগাযোগ করবে।

ধাপ -১২ঃ

আপনার উপজেলার নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মকর্তা আপনার আবেদনটি যাচাই-বাছাইয়ের পর আপনাকে বায়োমেট্রিক প্রদানের জন্য ডাকা হবে। আপনার বায়োমেট্রিক ইনফরমেশন নেয়ার জন্য নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ মেসেজের মাধ্যমে। এরপর সবকিছু ঠিক থাকলে ১৫-২০ দিনের মাথায় আপনি আপনার মোবাইলে এসএমএস পাবেন, এবং অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্রের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।

জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউন*লোড করার পদ্ধতি

জাতীয় পরিচয় পত্র (NID CARD) রেজিষ্ট্রেশন সম্পুর্ন হওয়ার পর আপনি চাইলে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রটি অনলাইন থেকে ডাউন*লোড করে নিতে পারবেন।

আরও পড়ুন  ⇒অনলাইন থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউন*লোড ( NID Card Do*wnload ) করুন খুব সহজেই

জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউন*লোড করার জন্য আপনাকে কয়েকটি ধাপ অবলম্বন করতে হবে যা উপরের দেওয়া লিংকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তারপরও আপনাদের সুবিধার জন্য সারসংক্ষেপ আলোচনা করা হলো –

জাতীয় পরিচয় পত্র (NID CARD) ডাউনলোড করার জন্য আপনাকে NIDGOVBD লিখে গুগলে সার্চ করতে হবে। তারপর নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে।

তারপর গুগল প্লেস্টোর থেকে NID Wallet নামে অ্যাপ ইন্সটল করে আপনার ছবি ভেরিফাই হলে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ডাউন*লোড ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন। যেখানে আপনি খুব সহজেই জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।

জাতীয় পরিচয়পত্রে নেই কিন্তু তথ্য পরিবর্তিত হয়েছে এমন তথ্যাদি পরিবর্তন কিভাবে সম্ভব?

জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রদর্শিত নয় এমন তথ্য অনলাইন থেকে সংশোধন করতে পারবেন।

হারিয়ে যাওয়া ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে সংশোধন করব?

আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র যদি হারিয়ে যায় তাহলে প্রথমে হারানো আইডি কার্ড উত্তোলন করে তারপর সংশোধনের আবেদন করতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ড হারানো ও সংশোধন একই সাথে করা যায় কি?

না । কারন, হারানো ও সংশোধন একই সাথে সম্ভব নয়। প্রথমে আপনাকে হারানো কার্ড তুলতে হবে, পরবর্তীতে সংশোধনের জন্য আবেদন করা যাবে।

হারানো ভোটার আইডি কার্ড পেতে বা তথ্য সংশোধনের জন্য কি কোন ফি দিতে হয়?

হ্যাঁ ফি দিতে হয়। আপনার ভোটার আইডি কার্ড রিইস্যু করার জন্য অবশ্যই ফি প্রদান করতে হবে। আপনার আবেদনের ফি জানতে এখানে ক্লিক করুন।

ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গিয়েছে। কিভাবে নতুন কার্ড পেতে পারি?

আপনার যদি ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে যায় তাহলে আপনি অনলাইনে পুনরায় মুদ্রণের (রিইস্যু) জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন অনুমোদিত হওয়ার পর আপনার মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হবে। এরপর অনলাইন থেকে আপনার এনআইডি কার্ড এর কপি ডাউনলোড করে নিন। বিস্তারিত

পাস না করা সত্ত্বেও এস.এস.সি পাশ দিয়েছিলাম এখন আমার বয়স বা অন্যান্য তথ্যাদি সংশোধনের উপায় কি?

আপনি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এস.এস.সি পাশ করেননি, ভুলক্রমে লিখেছিলেন মর্মে হলফনামা করে এর কপিসহ সংশোধনের আবেদন করলে তা সংশোধন করা যাবে।

একই পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের কার্ডে পিতা/মাতার নাম বিভিন্নভাবে লেখা হয়েছে কিভাবে তা সংশোধন করা যায়?

সকলের কার্ডের কপি ও সম্পর্কের বিবরণ দিয়ে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/ উপজেলা/ জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর পর্যাপ্ত প্রামাণিক দলিলসহ আবেদন করতে হবে।

আমি পাশ না করেও অজ্ঞতাবশতঃ শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা তদুর্দ্ধ লিখেছিলাম এখন আমার বয়স বা অন্যান্য তথ্যাদি সংশোধনের উপায় কি?

আপনি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এস.এস.সি পাশ করেননি, ভুলক্রমে লিখেছিলেন মর্মে হলফনামা করে এর কপিসহ সংশোধনের আবেদন করলে তা সংশোধন করা যাবে। এর জন্য আপনার অর্থদন্ড বা জেলজরিমানা হতে পারে।

আমার আইডি কার্ড এর ছবি অস্পষ্ট, ছবি পরিবর্তন করতে হলে কি করা দরকার?

আপনা যদি আপনার ছবি অস্ফষ্ট আসে এক্ষেত্রে নিজে সরাসরি উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে।

নিজ/পিতা/স্বামী/মাতার নামের বানান সংশোধন করতে আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে?

এই জন্য আপনাকে এসএসসি/সমমান সনদ, জন্ম সনদ, পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব সনদ, চাকুরীর প্রমাণপত্র, নিকাহ্‌নামা, পিতা/স্বামী/মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হয়।

নিজের ডাক নাম বা অন্য নামে নিবন্ধিত হলে সংশোধনের জন্য আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে?

নিজের নাম ভুল হলে তা আপনার এসএসসি/সমমান সনদ অনুযায়ী পরিবর্তন করা হবে। বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্ত্রী/স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সম্পাদিত এফিডেভিট ও জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি, ওয়ারিশ সনদ, ইউনিয়ন/পৌর বা সিটি কর্পোরেশন হতে আপনার নাম সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র।

পিতা/মাতাকে ‘মৃত’ উল্লেখ করতে চাইলে কি কি সনদ দাখিল করতে হয়?

আপনার পিতার মৃত্যু হলে আপনি যদি আপনার পিতা/মাতা/স্বামী মৃত উল্লেখ করতে চাইলে মৃত্যু সনদ দাখিল করতে হব।

ভোটার আইডি কার্ডে কিভাবে ঠিকানা সংশোধন করা যায়?

আপনি যদি আপনার এলাকা বা ঠিকানা পরিবর্তন করতে চান, তাহলে আপনাকে শুধুমাত্র আবাসস্থল পরিবর্তনের কারনেই ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য বর্তমানে যে এলাকায় বসবাস করছেন সেই এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে ফর্ম ১৩ এর মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। তবে একই ভোটার এলাকার মধ্যে পরিবর্তন বা ঠিকানার তথ্য বা বানানগত কোন ভুল থাকলে সাধারণ সংশোধনের আবেদন ফর্মে আবেদন করে সংশোধন করা যাবে।

আমি বৃদ্ধ ও অত্যন্ত দরিদ্র ফলে বয়স্ক ভাতা বা অন্য কোন ভাতা খুব প্রয়োজন। কিন্তু নির্দিষ্ট বয়স না হওয়ার ফলে কোন সরকারী সুবিধা পাচ্ছি না। লোকে বলে আইডি কার্ড –এ বয়সটা বাড়ালে ঐ সকল ভাতা পাওয়া যাবে?

না। আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডে কোনো পরিবর্তন করতে পারবেন না । প্রদত্ত বয়স প্রামাণিক দলিল ব্যতিত পরিবর্তন সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, প্রামানিক দলিল তদন্ত ও পরীক্ষা করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

একই পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের কার্ডে পিতা/মাতার নাম বিভিন্নভাবে লেখা হয়েছে কিভাবে তা সংশোধন করা যায়?

এটা একটা অনেক বড় সমস্যা। আপনাকে অবশ্যই তা সংশোধন করে নিতে হবে। কেননা, আপনার ক্যারিয়ারের প্রতিটি ধাপে এই জাতীয় পরিচয় পত্রটি দরকার পরবে। এর জন্য আপনাকে আপনার পরিবারের সকলের কার্ডের কপি ও সম্পর্কের বিবরণ দিয়ে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/ উপজেলা/ জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর পর্যাপ্ত প্রামাণিক দলিলসহ আবেদন করতে হবে।

নিজ/পিতা/স্বামী/মাতার নামের বানান সংশোধন করতে আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে?

আপনি যদি আপনার নিজের নাম, পিতার নাম এবং মাতার নাম সংশোধন করতে চান তাহলে আপনাকে আপনার এসএসসি/সমমান সনদ, জন্ম সনদ, পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব সনদ, চাকুরীর প্রমাণপত্র, নিকাহ্‌নামা, পিতা/স্বামী/মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হয়।

আমার আইডি কার্ড এর ছবি অস্পষ্ট, ছবি পরিবর্তন করতে হলে কি করা দরকার?

হুম, আপনি অবশ্যই তা পারবেন। কেননা যখন আপনার বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি তখন আপনার চেহেরা আর বর্তমানের চেহেরা মিল না থাকলে আপনি পরিবর্তন করতে পারবেন । প্রতিটি পরিবর্তনের জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে হবে। এক্ষেত্রে নিজে সরাসরি উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে।

আমি আমার পেশা পরিবর্তন করতে চাই কিন্তু কিভাবে করতে পারি?

আপনি যদি আপনার পেশা পরিবর্তন করতে চান তাহলে আপনাকে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে প্রামাণিক কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। উলেখ্য, আইডি কার্ডে এ তথ্য মুদ্রণ করা হয় না।

বিবাহ বিচ্ছেদের পর নতুন বিবাহ করেছি এখন আগের স্বামীর নামের স্থলে বর্তমান স্বামীর নাম কিভাবে সংযুক্ত করতে পারি?

হ্যাঁ অবশ্যই পারবেন। এর জন্য আপনাকে প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদের তালাকনামা ও পরবর্তী বিয়ে কাবিননামাসহ সংশোধন ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে।

বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। এখন আইডি কার্ড থেকে স্বামীর নাম বিভাবে বাদ দিতে হবে?

যদি কোনো কারনে কারোর বিবাহ বিচ্ছেদ যায় এবং আপনার ভোটার আইডি কার্ডে আপনার ডিভোর্সের স্বামীর নাম উল্লেখ্য আছে। তাহলে তা সংশোধের জন্য আপনাকে বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত দলিল (তালাকনামা) সংযুক্ত করে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।

বিয়ের পর স্বামীর নাম সংযোজনের প্রক্রিয়া কি?

আপনি যদি বিয়র পর আপনার স্বামীর নাম আপনার ভোটার আইডি কার্ডে যুক্ত করতে চান তাহলে নিকাহনামা ও স্বামীর আইডি কার্ড এর ফটোকপি সংযুক্ত করে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর আবেদন করতে হবে।

আমি অবিবাহিত। আমার কার্ডে পিতা না লিখে স্বামী লেখা হয়েছে। কিভাবে তা সংশোধন করা যাবে?

হ্যাঁ। আপনি সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে আপনি বিবাহিত নন মর্মে প্রমাণাদিসহ আবেদন করতে হবে।

ভুলক্রমে পিতা/স্বামী/মাতাকে মৃত হিসেবে উল্লেখ করা হলে সংশোধনের জন্য কি কি সনদ দাখিল করতে হবে?

আপনার ভোটার আইডি কার্ডে আপনার জীবিত পিতা/স্বামী/মাতাকে ভুলক্রমে মৃত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে কিন্তু আপনার পিতা/স্বামী/মাতা এখনো জীবিত আছে। তাহলে আপনি এটা সংশোধন করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ডে কোন সংশোধন করা হলে তার কি কোন রেকর্ড রাখা হবে?

 অবশ্যই। আপনি যা কিছু সংশোধন করবেন সকল সংশোধনের রেকর্ড সেন্ট্রাল ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে।

ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য কিভাবে সংশোধন করা যায়?

আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। এর জন্য আপনাকে সংশোধনের পক্ষে উপযুক্ত দলিলাদি / প্রমাণাদি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করে জমা দিতে হবে।

আমি যথা সময়ে ভোটার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করতে পারিনি। এখন কি করা যাবে?

হ্যাঁ। যেহেতু জাতীয় পরিচয় পত্র রেজিষ্ট্রেশন একটি চলমান প্রক্রিয়া তাই আপনি যে কোন সময়ে রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আপনি যদি অনলাইনে কিভাবে রেজিষ্ট্রেশন করতে হয় তার বিস্তারিত অনুচ্ছেদ দেখতে চান তাহলে আপনি এই পোস্টি পড়তে পারেন।

আমি বিদেশে অবস্থানের কারণে ভোটার রেজিস্ট্রেশন করতে পারিনি, এখন কিভাবে করতে পারবো?

যেহেতু জাতীয় পরিচয় পত্র রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়াটি একটি অনলাইন ভিত্তিক তাই আপনি যে কোন সময়ে রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আমি ২০০৭/২০০৮ অথবা ২০০৯/২০১০ সালে ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেছি কিন্তু সেই সময় আইডি কার্ড গ্রহণ করিনি। এখন কিভাবে আইডি কার্ড পেতে পারি?

হুম অবশ্যই পেতে পারেন । এর জন্য আপনাকে উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকে আপনার কার্ড সংগ্রহ করতে হবে। যদি সেখানেও না পাওয়া যায় তাহলে অনলাইনে রিইস্যু করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন অনুমোদিত হওয়ার পর আপনার মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হবে। এরপর অনলাইন থেকে আপনার এনআইডি কার্ড এর কপি ডাউনলোড করে নিন।

ভোটার তালিকার নামের সাথে বিভিন্ন খেতাব, পেশা, ধর্মীয় উপাধি, পদবী ইত্যাদি যুক্ত করা যাবে কিনা?

না। ভোটার তালিকার ডাটাবেজে শুধুমাত্র নাম সংযুক্ত করা হয়, কোন উপাধি বা অর্জিত পদবী তাতে সংযুক্ত করার অবকাশ নাই।

কোথা হতে আইডি কার্ড সংগ্রহ করা যাবে?

আপনি যদি চান অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। যদি আপনি অনলাইনে না করে থাকেন তাহলে যে এলাকায় ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেছেন সেই এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকে আইডি কার্ড সংগ্রহ করা যাবে।

আমি বিদেশে চলে যাব। আমার কার্ড কি অন্য কেউ উত্তোলন করতে পারবে?

 হ্যাঁ । আপনি পৃথিবীর যেকোন স্থান থেকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।

কার্ডে ইচ্ছাকৃত ভুল তথ্য দিলে কি হবে?

আপনি যদি জাতীয় পরিচয় কার্ডে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল করেন তাহলে আপনার জেল বা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দণ্ডিত হতে পারে।

জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ১৩ আবার কারো ১৭ কেন?

এতে কোন সমস্যা নেই কারন ২০০৮ এর পরে যত আইডি কার্ড প্রিন্ট করা হচ্ছে বা পুণঃ তৈরি হচ্ছে সে সকল কার্ডের নম্বর ১৭ ডিজিট হয়ে থাকে।

বিভিন্ন দলিলে আমার বিভিন্ন বয়স/নাম আছে। কোনটা ভোটার রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে?

আপনি যদি একজন ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষার সনদে উল্লেখিত বয়স ও নাম ব্যবহার করা উচিত হবে। ভবিষ্যতে ৫ম/৮ম সমাপনী পরীক্ষার সনদ ও গ্রহণযোগ্য হবে। লেখাপড়া না জানা থাকলে জন্ম সনদ,পাসপোর্ট,ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে ও আবেদন করা যাবে।

আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে কি ডুপ্লিকেট এন্ট্রি শনাক্ত করা সম্ভব?

হ্যাঁ, শনাক্ত করা সম্ভব। বর্তমানে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোটার আইডি কার্ড রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম চলছে। প্রতিটি নাগরিকের আঙ্গুলের ছাপ বাংলাদেশ সরকারের কেন্দ্রীয় সার্ভারে জমা থাকে। তাই আপনি যদি আপনার জন্য ডুপ্লিকেট কপি তৈরি করেন তাহলে তা চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।

এক ব্যক্তির পক্ষে কি একাধিক নামে ও বয়সে একাধিক কার্ড পাওয়া সম্ভব?

অবশ্যই না। একজন ব্যক্তি কেবল একটি মাত্র ভোটার আইডি কার্ড করতে পারবেন। তথ্য গোপন করে যদি কোনো ব্যক্তি একাধিক স্থানে ভোটার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি ধরা পড়ে যাবেন কারণ কেন্দ্রীয় সার্ভারে প্রতিটি নাগরিকের আঙুলের ছাপ রয়েছে। যদি পরবর্তীতে আপনি ধরা পড়েন তাহলে আপনার বিরুদ্ধে মামলা হবে।

নতুন ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে কি কি কাগজ পত্রাদি প্রয়োজন?

নতুন ভোটার হবার জন্য আপনাকে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ, এস.এস.সি বা সমমানের পরীক্ষা পাসের সনদ (যদি থাকে), আপনার ঠিকানা প্রমাণের জন্য কোন ইউটিলিটি বিলের কপি যেমনঃ বিদ্যুৎ বিল, নাগরিক সনদ পত্র, মা ও বাবার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি অথবা আপনি যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন তাহলে স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, টিআইএন (TIN) নম্বর (যদি থাকে)।

আমি খুব দরিদ্র ও বয়স ১৮ বছরের কম। ১৮ বছরের উপরে বয়স দেখিয়ে একটি আইডি কার্ড পেলে গার্মেন্টেস ফ্যাক্টরিতে বা অন্য কোথাও চাকুরী পেতে পারি। মানবিক কারণে এই পরিস্থিতি বিবেচনা করা যায় কি?

না। এই প্রশ্নের সোজাসাপটা উত্তর হলো আপনি কোনো সময়ের জন্য আপনার বয়স বৃদ্ধি বা কমানোর কোনো সুযোগ নেই। ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। মানবিক বিবেচনার কোন সুযোগ নেই। যদি আপনি তা পরিবর্তন করতে চান তাহলে পরবর্তীতে আপনার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হতে পারে।

আমি ভুলে দু’বার রেজিস্ট্রেশন করে ফেলেছি এখন কি করবো?

যদি আপনি দুইবার ভোটার আইডি কার্ড রেজিষ্ট্রেশন করে থাকেন তাহলে আপনি যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা জানান। যেহেতু বর্তমানে Finger Print Matching কার্যক্রম চলছে। অচিরেই সকল Duplicate Entry সনাক্ত করা হবে। উল্লেখ্য, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই শাস্তি অনেক গুরুতর হতে পারে।

আইডি কার্ড আছে কিন্তু ২০০৮ এর সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটার তালিকায় নাম ছিল না। এরূপ সমস্যা সমাধানের উপায় কি?

যদিও অনেক প্রকারের উত্তর হতে পারে এই প্রশ্নের। সবচেয়ে ভালো হয় আপনি অবিলম্বে এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/জেলা নির্বাচন কার্যালয় অফিসে যোগাযোগ করুন।

একজনের কার্ড অন্যজন সংগ্রহ করতে পারবে কিনা?

আপনি যদি অনুমতি দেন যে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রটি অন্যজন সংগ্রহ করুক। তাহলে আপনি তা দিতে পারবেন। তাছাড়া এখন সবকিছু অনলাইন ভিত্তিক হয়ে যাওয়ার ফলে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।

আপনারা বিভিন্ন ফর্মের কথা বলেছেন? এগুলো কোথায় পাওয়া যাবে?

যেহেতু জাতীয় পরিচয় পত্রের সকল প্রকারের কাজের জন্য অনলাইন ভিত্তিক হয়ে গেছে, তাই আপনি আপনার প্রয়োজনীয় সে ফাইলটি যে ক্যাটাগরিতে আবেদন করছেন সে অনুযায়ী আপনার ফরমটি তৈরি হবে। যা আপনি আবেদনের ধরন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ফরম অনলাইন থেকেই সংগ্রহ করতে পারবেন।

এই সমস্ত ফর্মের জন্য কোন মূল্য পরিশোধ করতে হয় কি না?

না। জাতীয় পরিচয় পত্রের আবেদন করার জন্য কোনো ফর্মের ফি দিতে হবে না। আপনি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এই ফরমের ফাইলটি পিডিএফ ফরম্যাটে ডাউনলোড করতে পারবেন।

জাতীয় পরিচয় পত্র কি?

জাতীয় পরিচয় পত্র হলো প্রতিটি বাংলাদেশী নাগরিকদের পরিচয় পত্র যা দিয়ে একজন ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক কিনা তা নির্ধারণ করা যায়। জাতীয় পরিচয় পত্র সংক্ষেপে এনআইডি কার্ড বলা হয়। এই পত্রটি এনআইডি কার্ড নামে বহুল পরিচিত। কেউ কেউ এই পত্রকে ভোটার আইডি কার্ড বলে থাকে। জাতীয় পরিচয়পত্র হচ্ছে বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য একটি বাধ্যতামূলক নথি, যা ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সের ব্যক্তিরা হালনাগাত করতে পারে। একজন নাগরিকের সকল তথ্য নথিভুক্ত করণ ও আইডি কার্ড সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হল বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।

জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার কিভাবে দেখবো?

জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার হচ্ছে একটা ইউনিক নাম্বার যার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিককে আলাদা বা চেনা যায়। আপনি দুইভাবে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার দেখতে পাবেন। যথাঃ একটি মোবাইল SMS এর মাধ্যমে এবং অপরটি আপনি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেখতে পাবেন। মোবাইল দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার দেখার জন্য মেসেজ টাইপ করুন NID<space>FORM NO<space>DD-MM-YYYY পাঠিয়ে দিন 105 নম্বরে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ফিরতি এসএমএসে আপনি পেয়ে যাবেন আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর।

মোবাইল দিয়ে এস.এম.এস এর মাধ্যমে কিভাবে জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার দেখবো?

মোবাইল দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার দেখার জন্য মেসেজ টাইপ করুন NID<Space>FORM NO<Space>DD-MM-YYYY পাঠিয়ে দিন 105 নম্বরে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ফিরতি এসএমএসে আপনি পেয়ে যাবেন আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর।

কিভাবে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করবো?

জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার বের করার জন্য আপনি দুইভাবে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার দেখতে পাবেন। একটি হলো মোবাইল SMS এর মাধ্যমে এবং অপরটি আপনি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। মোবাইল দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার দেখার জন্য মেসেজ টাইপ করুন NID <Space>FORM NO <Space> DD-MM-YYYY পাঠিয়ে দিন 105 নম্বরে।

এন আইডি মানে কি?

NID এর পূর্নরুপ হলো National Identity Card (জাতীয় পরিচয় পত্র)। জাতীয় পরিচয়পত্র হচ্ছে বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য একটি বাধ্যতামূলক নথি, যা ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সের ব্যক্তিরা হালনাগাত করতে পারে।

জাতীয় পরিচয় পত্র কত সালে শুরু হয়?

বাংলাদেশে জাতীয় পরিচয় পত্র শুরু হয় ২০০৮ সাল থেকে। বাংলাদেশে প্রতিটি নাগরিকের জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র হালনাগাত করা বাধ্যগতামূলক।

About nidgov

আমি গত ৫ বছর থেকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কাজ করেছি। আমি আমার স্নাতক শেষ করেছি হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমার বিষয় ছিলো কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং (ইঞ্জি.)।

View all posts by nidgov →