জাতীয় পরিচয়পত্র (NID GOV BD) রেজিস্ট্রেশন, ডাউন*লোড, সংশোধন, রিইস্যু এবং অন্যান্য

nid gov bd

জাতীয় পরিচয়পত্র / ভোটার আইডি কার্ড (NID GOV BD) বাংলাদেশ সরকার ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ যা দিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকদেরকে চেনা যায়। জাতীয় পরিচয় রেজিস্ট্রেশন, ডাউনলোড, সংশোধন, রিইস্যু করতে আপনাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) এর ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার ও জন্মতারিখ দিয়ে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। তারপর আপনার ঠিকানা যাচাই করে করবে, সেজন্য আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা সঠিকভাবে বসালে আপনার মোবাইল নাম্বার যাচাইয়ের একটি পেইজ আসবে। মোবাইল নাম্বার দেওয়ার পর, সেই নাম্বারে একটি OTP কোড আসবে। যা ভেরিফাই করলে আপনার ফেস যাচাই করার জন্য NID Wallet ডাউনলোড করে একাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে।

জাতীয় পরিচয়পত্র (NID GOV BD) রেজিস্ট্রেশন, ডাউনলোড, সংশোধন, রিইস্যু এবং অন্যান্য তথ্যের জন্য আপনাকে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্রের উইং ওয়েবসাইটে একটা তৈরি করে পরবর্তী সকল কাজ সম্পাদন করতে হবে। নিচে একটা লিস্ট প্রদান করতেছি যা আজকের এই অনুচ্ছেদে আলোচনা করা হবে।

জাতীয় পরিচয়পত্র রেজিস্ট্রেশন জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউ*নলোড
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন জাতীয় পরিচয়পত্র রিইস্যু
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফিস / চার্জ প্রদান জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইনে অনুসন্ধান

শিরোনামঃ

অনলাইনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID GOV BD) রেজিস্ট্রেশন করার সঠিক পদ্ধতি

বাংলাদেশ বর্তমান ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছে। পূর্বে প্রতিটি নাগরিককে চেনা হতো ভোটার আইডি কার্ডের মাধ্যমে কিন্তু বর্তমানে তথা ২০০৮ সাল থেকে এই হালনাগাতকে জাতীয় পরিচয়পত্র হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এই তথ্য গণনা যখন শুরু হয়েছিল তখন ডিজিটাল হিসেবে ছবিসহ ভোটার আইডি কার্ড রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করা হয়। এই সকল তথ্য বর্তমানে বাংলাদেশ নির্বাচন কার্যালয়ের অনলাইন ডাটাবেজে তথা NID GOV BD নামক ওয়েবসাইটে সংরক্ষিত রয়েছে।

See also  খুব সহজেই ভোটার আইডি কার্ড দেখার নিয়ম (Voter ID Card Check)

অনলাইনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID GOV BD) নিবন্ধন করার জন্য আপনাকে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র কার্ডের নাম্বার এবং জন্মতারিখ লাগবে। জাতীয় পরিচয়পত্র হালনাগাত করার সময় যে মোবাইল নাম্বারটি দিয়েছিলেন সেই মোবাইল নাম্বারটি লাগবে অথবা আপনি মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করতে পারবেন। নিচের লিংকে আপনি পড়তে পারবেন কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।

উপরিউক্ত লিংকে আপনি দেখতে পাবেন কিভাবে আপনি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ভোটার আইডি কার্ডের জন রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। নিচে জাতীয় পরিচয়পত্র কার্ডের জন্য অনলাইনে কিভাবে আবেদন করবেন তার ধাপগুলো নিচে বর্ণনা করা হলো।

ধাপ-১ঃ ইসির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট সার্চ

প্রথমে আপনাকে Google সার্চ ইঞ্জিনে যাওয়ার পর “NID GOV BD” লিখে সার্চ করলে নিচের পেইজের মতো একটি ইন্টারফেস আসবে। নিচের ছবিতে প্রদর্শিত ১নং ও ২নং মার্ক করা বক্সের যেকোন একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে অনলাইনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ধাপ-২ঃ ইসির নির্বাচন উইং এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট প্রবেশ

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন উইং এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে নিচের মত একটা ওয়েবপেইজ পাবেন। এই ওয়েবপেইজে প্রবেশ করলে মূলত ৩টি সেকশন পাবেন। এই তিনটি সেকশন যথাক্রমে রেজিস্ট্রার করুণ, আবেদন করুন, লগ ইন করুন। আপনার যদি জাতীয় পরিচয়পত্র থাকে কিন্তু একাউন্ট না থাকে তাহলে রেজিস্ট্রার করুণ বাটনে ক্লিক করতে হবে। আপনি যদি নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন করতে চান তাহলে “আবেদন করুন”।

আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID GOV BD) রেজিস্ট্রেশন করতে চান তাহলে“রেজিস্ট্রার করুন” অপশনে ক্লিক করুন। আর যদি আপনার একাউন্ট তৈরি করা থাকে, তাহলে ৩নং বক্সে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও পাসওয়ার্ড দিয়ে “লগ ইন” করুন। যেহেতু, আমরা একাউন্ট তৈরি করবো তাই আমরা একাউন্ট তৈরি করার জন্য রেজিস্ট্রার করুন” বাটনে ক্লিক করতে হবে।

উপরিউক্ত ধাপের কার্যক্রম শেষ করার পর আপনি আরও নতুন একটা পেজে চলে আসবেন। যেখানে আপনি নিচের মতো একটা ইন্টারফেস দেখতে পাবেন। এই পেজে আপনাকে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার / ফরম নম্বর দিয়ে একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। আপনার ভোটার আইডি কার্ড / ফরম নম্বর এবং জন্মতারিখ সঠিকভাবে বসানোর পর সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে আপনার ঠিকানা চিহ্নিত করার ওয়েবপেইজে নিয়ে যাবে।

ধাপ-৪ঃ বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা যাচাই

আপনার ভোটার আইডি কার্ড নম্বর / ফরম নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিয়ে সাবমিট করার পর নিচের ওয়েবপেজে চলে আসবেন। যেখানে আপনাকে আপনার বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা জানতে চাওয়া হবে। এই ধাপটি খুব প্রয়োজনীয় একটি ধাপ। এই ধাপে আপনার ১ম, ২য়, ৩য় ধাপে যা কিছু প্রবেশ করছেন তা একসাথে যাচাই করে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়া হবে।

এই ধাপে আপনাকে আপনার স্থায়ী এবং বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনুসারে প্রবেশ করতে হবে। অন্যাথায়, আপনি এই ধাপটি পার করতে পারবেন না। তাই আপনাকে আপনার এলাকা সঠিকভাবে বসিয়ে “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করতে হবে।

ধাপ-৫ঃ মোবাইল নাম্বার যাচাই

আপনার ঠিকানা যাচাই করার পর আপনাকে আপনার মোবাইল নাম্বার যাচাইয়ের জন্য একটি ওয়েবপেজ আসবে। এই পেজে আপনাকে সেই নাম্বার থাকবে, যে নাম্বারটি আপনার ভোটার আইডি কার্ড হালনাগাত করার সময় প্রদান করেছিলেন। অথবা, আপনি উক্ত পেজে থাকা নাম্বারটি পরিচবর্তন করতে পারবেন। আপনি যদি আপনার নাম্বারটি পরিবর্তন করতে চান, তাহলে আপনাকে “মোবাইল পরিবর্তন” বাটনে ক্লিক করতে হবে। যদি না পরিবর্তন করতে চান তাহলে “বার্তা পাঠান” বাটনে ক্লিক করতে হবে।

ধাপ-৬ঃ ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড যাচাই

আপনার মোবাইল নাম্বার NID GOB BD ওয়েবসাইটে ভেরিফাই করার করতে আপনার মোবাইলে একটি OTP Code আসবে। এই OTP Code টি ৬ ডিজিটের হয়ে থাকে। আপনাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিম্নোক্ত ওয়েবপেজের বক্সে বসিয়ে “বহাল” বাটনে ক্লিক করলে পরবর্তী ধাপে চলে যাবে। মনে রাখবেন আপনার কোডটি আপনার মোবাইলে আসার সাথে সাথে নিম্নোক্ত রেড বক্সে বসিয়ে “বহাল” বাটনে ক্লিক করতে হবে। অন্যথায়, আপনাকে পুনরায় OTP Code পাঠাতে হবে।

ধাপ-৬ঃ NID Wallet ডাউন*লোড এবং Face Verification

জাতীয় পরিচয়পত্র একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার এই ধাপে আপনাকে Face Verification করতে হবে। এই জন্য আপনাকে Google Playstore থেকে NID Wallet অ্যাপটি ডাউন*লোড করতে হবে। আপনি যদি মোবাইল দিয়ে আপনার একাউন্ট নিবন্ধন করে থাকেন, তাহলে আপনাকে আপনার স্ক্রিন মিনিমাইজ করে Google Playstore থেকে অ্যাপটি ডাউন*লোড করে নিন। আপনি চাইলে নিচের লিংকে ক্লিক করেও আপনার NID Wallet অ্যাপটি ডাউনলোড করা হয়ে যাবে।

See also  ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার সহজ নিয়ম

NID Wallet অ্যাপটি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ডাউন*লোড করার পর আপনাকে অ্যাপের সকল Permission দিয়ে দিতে হবে। আপনি যদি কম্পিউটার / ল্যাপটপ দিয়ে রেজিস্টার করে থাকেন তাহলে ৬ষ্ঠ ধাপে একটি QR Code পাবেন। এই QR Code টি স্ক্যান করলে আপনার NID Wallet অ্যাপটি চালু হবে।

তারপর আপনার Face Verification এর জন্য Permission চাইবে। আপনি যদি আপনার জন্য একাউন্ট করতে চান তাহলে আপনার Face Verification করে নিবেন। এই ধাপের সকল কাজ শেষ হবে যদি আপনি Face Verification করতে সক্ষম হন।

ধাপ-৭ঃ প্রোফাইল সেটআপ

উপরিউক্ত ধাপ শেষ করতে পারলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র / NID GOV BD / ভোটার আইডি কার্ডের প্রোফাইল সেটআপ লিংকে চলে যাবে। এই ওয়েবপেজে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র প্রোফাইলের জন্য ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড সেট করতে পারবেন।

আপনি যদি পরবর্তীতে আপনার প্রোফাইল ম্যানেজ করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই ধাপ শেষ করতে হবে। এই ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড সেটআপ করলে তা অবশ্যই মনে রাখবেন। পরবর্তীতে লগ ইন করতে ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দরকার লাগবে।

উপরিউক্ত ধাপগুলো শেষ করলে আপনার জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের NID GOV BD তে একটি প্রোফাইল রেজিস্ট্রেশন হবে। ফলে আপনি পরবর্তীতে এই প্রোফাইল খুব সহজেই ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড লগ ইন করে ম্যানেজ করতে পারবেন।

নতুন নিয়মে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID GOV BD) ডাউন*লোড করার সঠিক প্রক্রিয়া

নতুন নিয়মে জাতীয় পরিচয়পত্র / ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে হলে আপনাকে অবশ্যই NID GOV BD ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে। উপরিউক্ত লেখনীতে আমরা দেখিয়েছি কিভাবে আপনার একটি একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।

আপনি যখন উপরিউক্ত সকল ধাপ শেষ করবেন, তখন আপনার কাছে নিচের মতো একটি ওয়েবপেজ আসবে। এই পেজে দেখতে পাচ্ছেন এখানে সর্বমোট ৪টি অপশন রয়েছে। আপনি যদি আপনার প্রোফাইল দেখতে এবং পরিবর্তন করতে চান তাহলে আপনাকে ১নং অপশনে ক্লিক করতে হবে। ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে না পারলে নিচের লিংকে গিয়ে দেখতে পারেন।

আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র / ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে /সংশোধনজনিত কারণে কার্ডটি রিইস্যুর দরকার পড়লে আপনাকে ২নং অপশনে ক্লিক করতে হবে।

আপনি যদি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র স্মার্ট কার্ডের স্ট্যাটাস জানতে চান, তাহলে ৩নং অপশনে ক্লিক করতে হবে। আর আপনি যদি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে চান, তাহলে ৪নং অপশনে ক্লিক করলে ডাউনলোড হয়ে যাবে।

উপরিউক্ত ছবিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন কিভাবে আপনাকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড / জাতীয় পরিচয়পত্র NID GOV BD থেকে ডাউনলোড করতে হবে।

নতুন নিয়মে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID GOV BD) সংশোধন করার ধাপসমূহ

জাতিয় পরিচয়পত্র সংশোধন / ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য অনলাইন / অফলাইন যেকোনো একভাবে আবেদন করলেই কাজ হয়ে যাবে। অনলাইনে আবেদন করে কিভাবে জাতীয় পরিচয়পত্রটি সংশোধন করতে হবে, তার বিষয়ে বিস্তারিত নিচের লিংকে আলোচনা করা হয়েছে।

ভোটার আইডি কার্ড / জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার জন্য আপনাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র উইং এ একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। একাউন্ট তৈরি করার পর আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র প্রোফাইলে প্রবেশ করবেন। সেখানে নিচের মতো অপশন পাবেন।

উপরিউক্ত ছবিতে ৪টি অপশন দেখতে পাচ্ছেন। যেহেতু আমরা জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন / ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে চাচ্ছি তাই আমাদেরকে ১নং অপশন “প্রোফাইল” বাটনে ক্লিক করতে হবে।

প্রোফাইল নামক অপশনে ক্লিক করতে নিচের মতো একটি ওয়েবপেজ পাবেন। এই ওয়েবপেজে প্রবেশ করলে প্রোফাইলে আপনি ৩টি অপশন পাবেন। যেমনঃ ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য এবং ঠিকানা।

ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য এবং ঠিকানা এর মধ্যে যেসকল তথ্য আপনার সংশোধন করার দরকার সেই ট্যাবে ক্লিক করে পাশের এডিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। যদি নিচের নিচের ছবির ৪নং অপশনে

আপনি যদি ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন করতে চান, তাহলে আপনাকে ব্যক্তিগত তথ্য ট্যাবে ক্লিক করে এডিট বাটনে ক্লিক করলে নিচের পেজটি আসবে।

ব্যক্তিগত তথ্য এডিট করতে হলে আপনাকে অবশ্যই সংশোধনের প্রমাণ হিসেবে মাধ্যমিক / উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেটের কপি আরও ব্যক্তিগত তথ্যের সাথে সম্পর্কিত দলিলাদি লাগবে। ব্যক্তিগত তথ্যের যে তথ্যটি ভুলভাবে প্রবেশ করানো হয়েছে, সেই তথ্যকে সিলেক্ট করার পর এডিট করতে পারবেন।

See also  জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন (NID Card Correction) করার সহজ উপায়

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করা নিয়ে একটি অনুচ্ছেদ আছে, আপনার যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে আপনি ঐ অনুচ্ছেদটি দেখে আসতে পারেন। উপরের বাটনে যে লিংক দেওয়া হয়েছে তা পড়ে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র / ভোটার আইডি কার্ড এডিট করতে পারবেন।

এই অনুচ্ছেদটি যদি আপনার উপকারে আসে তবে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

পাস না করা সত্ত্বেও এস.এস.সি পাশ দিয়েছিলাম এখন আমার বয়স বা অন্যান্য তথ্যাদি সংশোধনের উপায় কি?

আপনি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এস.এস.সি পাশ করেননি, ভুলক্রমে লিখেছিলেন মর্মে হলফনামা করে এর কপিসহ সংশোধনের আবেদন করলে তা সংশোধন করা যাবে।

একই পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের কার্ডে পিতা/মাতার নাম বিভিন্নভাবে লেখা হয়েছে কিভাবে তা সংশোধন করা যায়?

সকলের কার্ডের কপি ও সম্পর্কের বিবরণ দিয়ে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/ উপজেলা/ জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর পর্যাপ্ত প্রামাণিক দলিলসহ আবেদন করতে হবে।

আমি পাশ না করেও অজ্ঞতাবশতঃ শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা তদুর্দ্ধ লিখেছিলাম এখন আমার বয়স বা অন্যান্য তথ্যাদি সংশোধনের উপায় কি?

আপনি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এস.এস.সি পাশ করেননি, ভুলক্রমে লিখেছিলেন মর্মে হলফনামা করে এর কপিসহ সংশোধনের আবেদন করলে তা সংশোধন করা যাবে। এর জন্য আপনার অর্থদন্ড বা জেলজরিমানা হতে পারে।

আমার আইডি কার্ড এর ছবি অস্পষ্ট, ছবি পরিবর্তন করতে হলে কি করা দরকার?

আপনা যদি আপনার ছবি অস্ফষ্ট আসে এক্ষেত্রে নিজে সরাসরি উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে।

নিজ/পিতা/স্বামী/মাতার নামের বানান সংশোধন করতে আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে?

এই জন্য আপনাকে এসএসসি/সমমান সনদ, জন্ম সনদ, পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব সনদ, চাকুরীর প্রমাণপত্র, নিকাহ্‌নামা, পিতা/স্বামী/মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হয়।

নিজের ডাক নাম বা অন্য নামে নিবন্ধিত হলে সংশোধনের জন্য আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে?

নিজের নাম ভুল হলে তা আপনার এসএসসি/সমমান সনদ অনুযায়ী পরিবর্তন করা হবে। বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্ত্রী/স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সম্পাদিত এফিডেভিট ও জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি, ওয়ারিশ সনদ, ইউনিয়ন/পৌর বা সিটি কর্পোরেশন হতে আপনার নাম সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র।

পিতা/মাতাকে ‘মৃত’ উল্লেখ করতে চাইলে কি কি সনদ দাখিল করতে হয়?

আপনার পিতার মৃত্যু হলে আপনি যদি আপনার পিতা/মাতা/স্বামী মৃত উল্লেখ করতে চাইলে মৃত্যু সনদ দাখিল করতে হব।

ভোটার আইডি কার্ডে কিভাবে ঠিকানা সংশোধন করা যায়?

আপনি যদি আপনার এলাকা বা ঠিকানা পরিবর্তন করতে চান, তাহলে আপনাকে শুধুমাত্র আবাসস্থল পরিবর্তনের কারনেই ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য বর্তমানে যে এলাকায় বসবাস করছেন সেই এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে ফর্ম ১৩ এর মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। তবে একই ভোটার এলাকার মধ্যে পরিবর্তন বা ঠিকানার তথ্য বা বানানগত কোন ভুল থাকলে সাধারণ সংশোধনের আবেদন ফর্মে আবেদন করে সংশোধন করা যাবে।

আমি বৃদ্ধ ও অত্যন্ত দরিদ্র ফলে বয়স্ক ভাতা বা অন্য কোন ভাতা খুব প্রয়োজন। কিন্তু নির্দিষ্ট বয়স না হওয়ার ফলে কোন সরকারী সুবিধা পাচ্ছি না। লোকে বলে আইডি কার্ড –এ বয়সটা বাড়ালে ঐ সকল ভাতা পাওয়া যাবে?

না। আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডে কোনো পরিবর্তন করতে পারবেন না । প্রদত্ত বয়স প্রামাণিক দলিল ব্যতিত পরিবর্তন সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, প্রামানিক দলিল তদন্ত ও পরীক্ষা করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

একই পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের কার্ডে পিতা/মাতার নাম বিভিন্নভাবে লেখা হয়েছে কিভাবে তা সংশোধন করা যায়?

এটা একটা অনেক বড় সমস্যা। আপনাকে অবশ্যই তা সংশোধন করে নিতে হবে। কেননা, আপনার ক্যারিয়ারের প্রতিটি ধাপে এই জাতীয় পরিচয় পত্রটি দরকার পরবে। এর জন্য আপনাকে আপনার পরিবারের সকলের কার্ডের কপি ও সম্পর্কের বিবরণ দিয়ে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/ উপজেলা/ জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর পর্যাপ্ত প্রামাণিক দলিলসহ আবেদন করতে হবে।

নিজ/পিতা/স্বামী/মাতার নামের বানান সংশোধন করতে আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে?

আপনি যদি আপনার নিজের নাম, পিতার নাম এবং মাতার নাম সংশোধন করতে চান তাহলে আপনাকে আপনার এসএসসি/সমমান সনদ, জন্ম সনদ, পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব সনদ, চাকুরীর প্রমাণপত্র, নিকাহ্‌নামা, পিতা/স্বামী/মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হয়।

আমার আইডি কার্ড এর ছবি অস্পষ্ট, ছবি পরিবর্তন করতে হলে কি করা দরকার?

হুম, আপনি অবশ্যই তা পারবেন। কেননা যখন আপনার বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি তখন আপনার চেহেরা আর বর্তমানের চেহেরা মিল না থাকলে আপনি পরিবর্তন করতে পারবেন । প্রতিটি পরিবর্তনের জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে হবে। এক্ষেত্রে নিজে সরাসরি উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে।

আমি আমার পেশা পরিবর্তন করতে চাই কিন্তু কিভাবে করতে পারি?

আপনি যদি আপনার পেশা পরিবর্তন করতে চান তাহলে আপনাকে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে প্রামাণিক কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। উলেখ্য, আইডি কার্ডে এ তথ্য মুদ্রণ করা হয় না।

বিবাহ বিচ্ছেদের পর নতুন বিবাহ করেছি এখন আগের স্বামীর নামের স্থলে বর্তমান স্বামীর নাম কিভাবে সংযুক্ত করতে পারি?

হ্যাঁ অবশ্যই পারবেন। এর জন্য আপনাকে প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদের তালাকনামা ও পরবর্তী বিয়ে কাবিননামাসহ সংশোধন ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে।

বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। এখন আইডি কার্ড থেকে স্বামীর নাম বিভাবে বাদ দিতে হবে?

যদি কোনো কারনে কারোর বিবাহ বিচ্ছেদ যায় এবং আপনার ভোটার আইডি কার্ডে আপনার ডিভোর্সের স্বামীর নাম উল্লেখ্য আছে। তাহলে তা সংশোধের জন্য আপনাকে বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত দলিল (তালাকনামা) সংযুক্ত করে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।

বিয়ের পর স্বামীর নাম সংযোজনের প্রক্রিয়া কি?

আপনি যদি বিয়র পর আপনার স্বামীর নাম আপনার ভোটার আইডি কার্ডে যুক্ত করতে চান তাহলে নিকাহনামা ও স্বামীর আইডি কার্ড এর ফটোকপি সংযুক্ত করে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর আবেদন করতে হবে।

আমি অবিবাহিত। আমার কার্ডে পিতা না লিখে স্বামী লেখা হয়েছে। কিভাবে তা সংশোধন করা যাবে?

হ্যাঁ। আপনি সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে আপনি বিবাহিত নন মর্মে প্রমাণাদিসহ আবেদন করতে হবে।

ভুলক্রমে পিতা/স্বামী/মাতাকে মৃত হিসেবে উল্লেখ করা হলে সংশোধনের জন্য কি কি সনদ দাখিল করতে হবে?

আপনার ভোটার আইডি কার্ডে আপনার জীবিত পিতা/স্বামী/মাতাকে ভুলক্রমে মৃত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে কিন্তু আপনার পিতা/স্বামী/মাতা এখনো জীবিত আছে। তাহলে আপনি এটা সংশোধন করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ডে কোন সংশোধন করা হলে তার কি কোন রেকর্ড রাখা হবে?

 অবশ্যই। আপনি যা কিছু সংশোধন করবেন সকল সংশোধনের রেকর্ড সেন্ট্রাল ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে।

ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য কিভাবে সংশোধন করা যায়?

আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। এর জন্য আপনাকে সংশোধনের পক্ষে উপযুক্ত দলিলাদি / প্রমাণাদি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করে জমা দিতে হবে।

About nidgov

আমি গত ৫ বছর থেকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কাজ করেছি। আমি আমার স্নাতক শেষ করেছি হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমার বিষয় ছিলো কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং (ইঞ্জি.)।

View all posts by nidgov →