লিথুনিয়ার কাজের ভিসার আবেদন ২০২৩।

লিথুয়ানিয়ার কাজের ভিসা আবেদন ২০২৩।

লিথুনিয়ার কাজের ভিসা বাংলাদেশিদের কাছে বর্তমানে অনেক জনপ্রিয়।

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার শ্রমিক জব ভিসায় লিথুনিয়ায় যাচ্ছে।লিথুনিয়ার ভিসা বাংলাদেশিদের জন্য খুব সুবিধাজনক। তো চলুন আজকের আয়োজনে লিথুনিয়ার ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাকঃ

জব ভিসা

লিথুনিয়ায় বিভিন্ন ভিসায় যাওয়া যায়।তবে তার মধ্যে জব ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সব থেকে জনপ্রিয়। আপনি যদি দীর্ঘ দিন বিদেশে থেকে কাজ করতে চান তাহলে লিথুনিয়া আপনার ফাস্ট চয়েস।এই জন্য লিথুনিয়ার কাজের ভিসা সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।

আপনি যদি লিথুনিয়ায় কাজের ভিসায় যান তাহলে আপনার জন্য ৪ ধরনের ভিসা রয়েছে।যেমন,

  • যারা দক্ষ কর্মী আছেন তাদের জন্য কাজের ভিসা বা EU BLUE Card রয়েছে।
  • যারা সাধারণ কর্মী রয়েছেন তাদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা রয়েছে।
  • এবং সর্বশেষ সিজনাল ওয়ার্ক ভিসা বা কাজের ভিসা ইত্যাদি।

লিথুনিয়ায় EU BLUE Card ভিসা সব থেকে জনপ্রিয়। আপনি যদি অতি দক্ষ ও অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ না হন তাহলে এই ভিসা পাবেন না।তাই আপনাকে অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মী হতে হবে।

EU BLUE Card ভিসা পেলে আপনি অবাধে লিথুনিয়াতে কাজ করতে পারেন। এছাড়াও এই কার্ড পাওয়ার মাধ্যমে আপনি অস্থায়ীভাবে লিথুনিয়াতে ২ বছরের বসবাসের সুবিধাও পাবেন।

আপনার কাজের ভারসাম্য অনুযায়ী উপরের যেকোনো একটি বেছে নিতে পারেন।

আপনার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু পোষ্টঃ

কানাডা জব ভিসার আবেদন ও খরচ ২০২৩।

আমেরিকান ভিসা চেক করার সব থেকে সহজ নিয়ম ২০২৩।

See also  মৃত ব্যক্তির NID Smart Card নিন খুব সহজেই ২০২৩।

কাজের ভিসার জন্য যা যা লাগবে।

আপনি যদি লিথুনিয়ায় কাজের ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনার প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্টস লাগবে আবেদন করতে।

নিচে লিথুনিয়ার ভিসার আবেদন করার জন্য যে ডকুমেন্টস লাগবে তা দেওয়া হলোঃ

  • আপনার কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদি বৈধ পাসপোর্ট লাগবে।
  • আপনার একটি ব্যাংক Statement লাগবে।
  • পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি লাগবে।
  • লিথুনিয়ায় আপনি যেখানে নিয়োগ হবেন সেই নিয়োগ কর্মকর্তার দেয়া আমন্ত্রণ পত্র বা চিঠি লাগবে।
  • আপনার মেডিকেল রিপোর্ট।
  • আপনি যে কাজের জন্য যাচ্ছেন তার দক্ষতার প্রমাণপত্র।
  • আপনার আয়ের উৎসের প্রমাণ।
  • লিথুনিয়ায় লেবার এক্সচেঞ্জ এর জারি করা ওয়ার্ক পারমিট।

লিথুনিয়ার কাজের ভিসা যেভাবে পাবেন

আপনি যদি মনে করেন লিথুনিয়ার কাজের ভিসা পাওয়া কঠিন তাহলে সেটা হবে ভুল।কারন লিথুনিয়ার কাজের ভিসা পাওয়া একদম সহজ।এম্বাসিতে যোগাযোগ, প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র জমা দেওয়া,ভিসা প্রসেসিং এর জন্য অপেক্ষা করা ইত্যাদি কিছু সহজ পদক্ষেপের মাধ্যমে আপনি লিথুনিয়ার ভিসা পেয়ে যাবেন।

নিচে লিথুনিয়ার কাজের ভিসা পাওয়া সহজ উপায়গুলো ধাপে ধাপে দেওয়া হলোঃ

উপায় ১ঃ ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ

আপনি যদি লিথুনিয়ার কাজের ভিসা পেতে চান তাহলে প্রথমেই আপনাকে লিথুনিয়ান লেবার এক্সচেঞ্জ ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করতে হবে।

লিথুনিয়ান নিয়োগ কর্তার কাছ থেকে কাজের অনুমতি পাওয়ার আগে আপনার কিছু প্রয়োজনীউ ডকুমেন্টস প্রধান করে ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু করতে হবে।

লিথুনিয়ার এম্বাসিতে যোগাযোগ করুন

লিথুনিয়ার কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে নিকটস্থ লিথুনিয়ার এম্বাসিতে যোগাযোগ করতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়া,আবেদন, ভিসা প্রসেসিং সহ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে এম্বাসিতে গিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ভিসার আবেদন ফরম পূরণ করুন

আপনি সরাসরি অথবা লিথুনিয়ার অনলাইন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে Visa ফরম সংগ্রহ করতে পারেন।

আবেদন ফরম সংগ্রহ করার পর প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নির্ভুল ভাবে ফরম পূরণ করতে হবে।

See also  রোমানিয়ার ভিসা চেক করার সব থেকে সহজ নিয়ম ২০২৩

Appointment গ্রহণ করুন

ভিসার আবেদন ফরম পূরণ করার পর সকল কাগজপত্র নিয়ে এম্বাসিতে এসে Appointment গ্রহণ করতে হবে।এরপর তাদের দেওয়া সময় অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ তাদের সাথে দেখা করতে হবে।

ভিসার জন্য কতদিন অপেক্ষা করতে হয়?

এম্বাসিতে সকল কাগজপত্র জমা দেওয়ার ৭-১৪ দিনের মধ্যে সাধারণত ভিসা হাতে আসে।তবে কাগজপত্রের কোনো সমস্যা ভিসা জটিলতার কারনেও ভিসা প্রসেসিং এ দেরি হয়।তাই ভিসা হাতে আসতে আরোও দেরি হয়।

লিথুনিয়ার কাজের ভিসার মূল্য কত

আপনি যদি লিথুনিয়ার ভিসা নিতে চান তাহলে আপনার ফি পড়বে ১২০ ইউরো।১২০ ইউরোর হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশি টাকার হিসেব দাঁড়ায় ১৮ হাজার টাকা। এই টাকা অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে পরিশোধ করবেন।

বর্তমানে সর্বো খরচে লিথুয়ানিয়ায় যেতে ৭ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লেগে যায়।

লিথুনিয়ার কাজের বেতন

দেশটিতে দক্ষতা,কাজের ধরন, অভিজ্ঞতা ইত্যাদির উপরে বেতন নির্ভর করে।আপনার অভিজ্ঞতা যেমন বেতনও তেমন হবে।

তবে আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তারপরেও মাসে কমপক্ষে ৬০-৭০ হাজার টাকা বেতন পাবেন। পরবর্তীতে দক্ষতা বাড়ার সাথে সাথে আপনার বেতনেও বাড়বে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক পাঠিকা,আজ আমি লিথুনিয়ার কাজের ভিসার আবেদন ২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম।এরপরও যদি কোনো কিছু বুজতে সমস্যায় হয় তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত জানাতে পারেন।