কানাডা জব ভিসার আবেদন ও খরচ ২০২৩।
বাংলাদেশীদের জন্য কিন্তু কানাডার জব ভিসা এখনও চালু রয়েছে।তাহলে আজ জেনে নিন কানাডা জব ভিসা আবেদন ও খরচ সম্পর্কে।
কানডা একটি প্রযুক্তি নির্ভর দেশ।এদেশের আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা,প্রযুক্তির কারনে কানাডাকে নিয়ে গেছে উন্নতির শীর্ষে।বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থী, কর্মজীবি, ব্যবসা, ইত্যাদির জন্য কানাডায় পাড়ি জমায়।
আপনি জানলে অভাক হবেন কানাডায় অভিবাসীরা কিছুদিন বসবাসের পর স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পেয়ে যান।তাই এখনিই অনলাইনে সঠিকভাবে কানাডার ভিসা পেয়ে যান ঘরে বসেই।
শিরোনামঃ
জব ভিসা কানাডা
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতি বছর কানাডায় ৩ হাজারেরও বেশি দক্ষ শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে বর্তমানে কানাডায় যে কর্মী সমস্যা তাতে কানাডার সরকা এই নিয়োগের সংখ্যা বাড়াতে বাধ্য হয়েছে।
বর্তমানে কানাডায় যারা স্থায়ীভাবে বসবাস করচ্ছেন তাদের পরিবারের জন্য কানাডিয়ান সরকার ওপেন ওয়ার্ক পারমিটের ব্যবস্থা করেছেন।
এই মাসের ১৬ জুলাই থেকে কানাডায় স্থায়ী বসবাসকারী সদস্যদের পরিবার কানাডার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
যারা অনুমোদন পাবেন কানাডার সরকার তাদের ৩ বছরের একটি ওপেন ওয়ার্ক পারমিট দিবে।এর ফলে নিয়োগকর্তার যেকোনো কাজে অংশগ্রহন করা যাবে।
পর্যটক ও শিক্ষার্থীদের জব ভিসা
আমরা জানি কানাডায় এখন কর্মী সংকট রয়েছে।তাই কানাডিয়ান সরকার দেশের সিজনাল কর্মীদের কাজের মেয়াদ আরোও ২ বছর বাড়িয়েছে।পর্যটন ভিসায় যারা কানাডায় গিয়ে ১২ মাসের জব যারা করেছিল তারা আবার নতুন করে আরও ২ বছর কাজের মেয়াদ পাবে।
এছাড়াও গতবছরে কানাডার সরকার সেখানে বসবাসরত স্টুডেন্টদের কাজের ঘন্টার উপরে বিধিনিষেধ উঠিয়ে দিয়েছিলো।
একটা সময় স্টুডেন্টদের কাজের সময়ের মেয়াদ ২০ ঘন্টা পর্যন্ত থাকলেও এখন যে যত সময় কাজ করতে পারবে তার উপরে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
কানাডা জব ভিসার যোগ্যতা
আপনি যদি কানাডার জব ভিসা পেতে চান তাহলে নিচের কিছু বিষয় আপনার লাগবে।
- আপনার বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।
- কমপক্ষে HSC পাশ থাকতে হবে।
- ইংরেজিতে অবশ্যই আপনার দক্ষতা থাকতে হবে।দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে IELTS স্কোর কমপক্ষে ৬ থাকতে হবে।
- আপনার যদি কোনো কাজে দক্ষতা থাকে তাহলে তার প্রমাণ থাকতে হবে।
- এবং ৩০ লাখ টাকা লেনদনের একটি ব্যাংক Statement লাগবে।
ওয়ার্ক পারমিট আবেদন করতে আপনার যা যা লাগবে
আপনি যদি কানাডার ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন করেন তাহলে আপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস লাগবে।যেমন আবেদনের সময় গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস হিসেবে CV এবং কভার লেটার লাগবে।
CV অবশ্যই কানাডিয়ান পদ্ধতিতে হতে হবে।CV তে কাজের দক্ষতা,শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে ধরুন।
জব ভিসা প্রসেসিং এ আপনার যেই ডকুমেন্টস গুলো লাগবে
আপনি ওয়ার্ক পারমিট কিন্তু আবেদন এপ্রুব হওয়ার পরই পাবেন।এরপর ভিসা প্রসেসিং এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজপত্র লাগবে।যেমন,
- সর্বনিম্ন ৬ মাসের মেয়াদের পাসপোর্ট লাগবে।
- নিজ ভোটার আইডি কার্ড।
- আপনার ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।
- IELTS সার্টিফিকেট এবং আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেটও লাগবে।
- আপনি যে কাজের জন্য কানাডা যাচ্ছেন সেই কাজের দক্ষতা সার্টিফিকেট।
- এবং একটি ব্যাংক Statement.
- আপনার মেডিকেল রিপোর্ট।
- আপনি ভিসার যে ফি পরিশোধ করেছেন তার রশিদ।
- আপনার থানার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট লাগবে।
- এছাড়াও আপনার আর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাগজ লাগবে।সেটি হলো বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন।
কানাডার ওয়ার্ক পারমিটের কিছু নিয়ম
আপনি ঘরে বসেই কানাডার অভিবাসন ও নাগরিকত্ব বিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেও ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। নিচে কানাডার ওয়ার্ক পারমিট আবেদন করার ধাপগুলি দেওয়া হলো;
১ঃ কানাডার অভিবাসন ও নাগরিকত্ব পোর্টাল
আবেদনের জন্য প্রথমে আপনাকে এই লিংকে যেতে হবে।এখান থেকে সকল দেশের কর্মীরাই ভিসার বিভিন্ন সুবিধা নিতে পারবে।ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর অনেকগুলো অপশন পাবেন।সেখান থেকে Get a work permit এই অপশন টিতে ভিজিট করুন।

২ঃসেবা এবং তথ্য(Service and information)
কানাডা ভিত্তিক সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং কর্মীদের ওয়ার্ক পারমিট তথ্য এই পেজে পেয়ে যাবেন।যেমন,
- Temporary Work Permit.
- ওপেন পারমিট।
- বিজনেস পারমিট।
- এগ্রিকালচার ওয়ার্ক পারমিট ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আপনার প্রয়োজনীয় অপশনটি নির্বাচন করে পরবর্তী ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন। Find out if you need a work permit
জব ভিসার খরচ
আপনি যদি কানাডায় জব ভিসায় যান তাহলে আপনার মোট খরচ পড়বে ৭ লাখ টাকা।এই ৭ লাখ টাকা সর্বো খরচ নিয়ে।
কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশি কিছু দালালরা কানাডার ভিসা ১০-১২ লাখ টাকা বা তার থেকেও বেশি টাকা রাখে।এই সকল দালালের প্রতারণা এড়াতে সরকার নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করলে আপনার ৭ লাখেন বেশি লাগবে না।
এছাড়াও কানাডায় কৃষি বিষয়ক ভিসার মূল্য ৫ লাখ টাকায়।তাই চেষ্টা করবেন সরকারি নিয়মে কানাডায় যেতে।
ওয়ার্ক পারমিট পেতে কত সময় লাগে
২০২৩ সালের এই সময়ে এসে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট প্রসেসিং হতে ৮-১০ সপ্তাহ লাগে।তবে নির্দিষ্ঠ পেশায় সময় আরও বেশি লাগে।
মেডিকেল চেকআপ
কানাডার ভিসার জন্য মেডিকেল রিপোর্ট লাগবে।আপনাকে যখন কানাডিয়ান এম্বাসি থেকে মেডিকেল করতে বলবে আপনি তখন অনুমোদিত মেডিকেল থেকে চেকআপ করিয়ে রিপোর্ট বের করবেন।
শেষ কথা
সত্যিকার অর্থে কানাডায় জব ভিসা পাওয়া অনেক কঠিন।তবে দক্ষ ব্যক্তিদের জন্য কানাডায় জব ভিসা পাওয়াটা কিন্তু সহজ।তাই কানাডা যাওয়ার আগে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলুন।
কানাডা জব ভিসার সম্পর্কে আরো কিছু জানার থাকলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে